বাংলা হান্ট ডেস্ক : লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Election 2024) ঠিক পূর্বেই দাবার সবচেয়ে বড় চালটা চেলেছে বিজেপি (BJP)। গতকাল থেকেই লাগু হয়েছে নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইন (Citizenship Amendment Act)। বিরোধীদের লাখো বিরোধও আটকাতে পারেনি এই বিল। দেশজুড়ে শুরু হয়েছে প্রতিবাদের ঝড়। যদিও কেন্দ্রীয় সরকারের মতে, এই আইন প্রতিবেশী তিন দেশের অত্যাচারিত সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করবে। আর এবার CAA নিয়ে মুখ খুলল হিন্দু আমেরিকান অর্গানাইজেশন (এইচএএফ)।
প্রথমেই বলি, সংসদে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাস হয় ২০১৯ সালের ১১ ডিসেম্বর। তার একদিন পরেই এই বিলে সিলমোহর দেয় রাষ্ট্রপতিও। বলা হয় এই আইনের আওতায় পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশের সংখ্যালঘু যারা ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে ভারতে এসেছেন তারা ভারতীয় নাগরিকত্ব পাবেন।
এই প্রসঙ্গে হিন্দু আমেরিকান অর্গানাইজেশন (এইচএএফ) এর নির্বাহী পরিচালক সুহাগ শুক্লা বলেন, ভারতে এই আইনের প্রতিক্ষা বহুদিন ধরেই হচ্ছিল। এতে শরণার্থীদের নিরাপত্তা দেওয়া হবে। এটি বাস্তবায়নের ফলে সেসব মানুষ মানবাধিকার পেতে পারবে, যারা তাদের দেশে এ থেকে বঞ্চিত ছিল। একই সময়ে, তাদের জীবন পুনর্গঠন শুরু করার জন্য নাগরিকত্বের একটি পরিষ্কার পথ প্রয়োজন।’
আরও পড়ুন : CAA নিয়ে বিভ্রান্ত? সমস্যায় পড়ার আগেই দেখে নিন এই ১০টি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর
HAF একটি বিবৃতি জারি করে বলেছে যে, একাধিকবার CAA নিয়ে বিভ্রান্তিমূলক বার্তা ছড়ানো হয়েছে। CAA কোনও ভারতীয় নাগরিকের অধিকার পরিবর্তন করে না। সুহাগ শুক্লা বলেন, ‘লটেনবার্গ সংশোধনী ১৯৯০ সাল থেকে আমেরিকায় কার্যকর হয়েছে, CAA তারই প্রতিফলন। এটি নির্বাচিত দেশগুলির লোকেদের জন্য বসবাসের একটি জায়গা প্রদান করে যেখানে ধর্মীয় নিপীড়ন প্রবল।’
আরও পড়ুন : টলমলে গদি, হরিয়ানায় ভাঙনে বিজেপি জোটে! ইস্তফা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী খট্টর
এছাড়াও এইদিন HAF সদস্য পুষ্পিতা প্রসাদ বলেন, ‘পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানে নির্যাতিত ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের মানবাধিকারের জন্য এটি একটি বড় বিজয়। এটি প্রায় ৩১,০০০ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রদানের প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করবে যারা পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তানে নিপীড়নের সম্মুখীন হয়েছে।’ এইদিন প্রসাদ আরও বলেন, ‘উদাহরণস্বরূপ, আমরা দেখতে পাচ্ছি যে শুধুমাত্র পাকিস্তানেই প্রতি বছর সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের এক হাজারেরও বেশি নাবালিকাকে অপহরণ করা হয়। তাদের জোর করে ধর্মান্তরিত করা হয়। পুলিশ ও বিচার বিভাগীয় কর্তৃপক্ষের সহায়তায় তাদের অপহরণকারীদের সঙ্গে বিয়ে হয়।’ এইদিন খ্যাতনামা গায়িকা মেরি মিলবেন CAA প্রসঙ্গে বলেন, ‘এটা সত্যিকারের গণতান্ত্রিক কাজ। আমি CAA বাস্তবায়নের জন্য মোদী সরকারকে সাধুবাদ জানাই।’