বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কুমারগঞ্জ এলাকায় তরুণীকে পৈশাচিক ধর্ষণের ধিক্কারে অখিল ভারতীয় হিন্দু সভার কেন্দ্রীয় কমিটি দেশে একের পর এক ধর্ষণের ঘটনা বারবার একটাই কথা মনে করাচ্ছে ধর্ষকদের সমাজ থেকে নির্মূল করার সময় এসে গেছে। কেননা দেশের প্রতিটি রাজ্যে ধর্ষণ মহামারির আকার ধারণ করছে। নির্মমভাবে ধর্ষণ করার পর মেয়েদের শরীর ছিন্নভিন্ন করে তাকে জ্বালিয়ে দেওয়া এখন রোজকার ঘটনা । নতুন বছরের সপ্তাহ পার হয়নি তার মধ্যেই ভয়ানক একটি ধর্ষণ কাণ্ডের সাক্ষী হয়ে রইলো দক্ষিন দিনাজপুরের কুমারগঞ্জ। সতের বছরের এক তরুণীকে গনধর্ষণ করা হয় তারপর তাকে পুড়িয়ে মারা হয়। সোমবার সকালে সাফানগর ও অশোকগ্রামের মধ্যবর্তী মাঠ সংলগ্ন এলাকায় থাকা একটি সাঁকোর নীচ থেকে আধখাওয়া অবস্থায় ওই তরুণীকে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা। আর অই দেহ কুকুর শেয়ালে ছিঁড়ে খেয়েছিল বলে জানা গিয়েছে।
এইভাবে একের পর এক নারকীয় ধর্ষণ কাণ্ড বারবার ভাবাচ্ছে, মেয়েদের সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্নের মুখে দাড়াতে হচ্ছে প্রশাসন কে।এই ঘটনায় অখিল ভারতীয় হিন্দু সভার কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবং মুখপাত্র তীব্র নিন্দা করেছেন। নতুন বছরে এই নিয়ে তিন্তে ধরশন এবং খুনের ঘটনা ঘটেছে। কালিয়াগঞ্জ এবং দত্ত্পুকুরে এরকম নারকীয় ঘটনার নিন্দা করা হয়েছে। এমনকি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেভাবে সিএএ এবং এনআরসি নিয়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন সেভাবে এই ধর্ষণের বিষয় নিয়ে যদি প্রতিবাদে সরব হতেন তাহলে নিশ্চয়ই সমস্যার একটা সুরাহা হতো ।
রাজ্যে এই নিয়ে তেমনভাবে কোন কড়া আইন কেন বলবত হচ্ছেনা এবং এই ধর্ষকদের কেন ফাঁসি দেওয়া হচ্ছেনা এর মধ্যে এই নিয়ে শুরু হয়েছে একাধিক প্রশ্ন । এমনকি এই সমস্যার সুরাহা না হলে ভবিষ্যতে গন আন্দোলনে নামতে চলেছে অখিল ভারতীয় হিন্দু সভার কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যরা। কারন এইভাবে দিনের পর দিন মিথ্যে অন্যায় মেনে নেওয়া যায়না তাই এই সমস্যার সুরাহা করার জন্যে আন্দলনের পথে হাটবেন এই দলের সদস্যরা।
অখিল ভারত হিন্দু মহাসভার অন্যতম জাতীয় মুখপত্র ও কেন্দ্র কমেটির সদস্য পৃথ্বীষ দাসগুপ্ত বলেন দেশের কোথায় কোন মহিলা ধর্ষিতা হলে বা যৌননির্জাতনের পর বর্বরোচিত ভাবে হলে হত্যা করা হলে, দেশের মানুষের কাছে বার্তা পৌঁছে দিতে সব থেকে বেশি প্রতিবাদে সরব হন বাংলার রাজনীতিবিধ, বুদ্ধিজীবী থেকে সাধারণ মানুষ, অথচ ইংরেজীর নতুন বছরে পর পর তিনটি মেয়েকে যৌননির্যাতন করে হত্যা করা হল, বাংলার মহিলা মূখ্যমন্ত্রী একটাও কথা বলেন না? দক্ষিণ দিনাজপুরের কুমারগঞ্জে ১৭ বছর বয়সী হিন্দু বাঙালী মেয়ে ধর্ষিতা হয়, তারপর তাকে পাশবিক ভাবে হত্যা করা হয়েছে গলার নলি কেটে,হাতের শিড়া কেটে, গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে আধপোড়া করে ফেলে দিয়ে চলে যায় ধর্ষকরা। সেই আধপোড়া দেহ থেকে রাতভর শেয়াল,কুকুর মাংস খুবলে খায়।
পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল সরকারের সময়কালে শতাধিক ধর্ষণ, যৌননির্যাতন ও নির্মমভাবে হত্যার ঘটনা ঘটেছে, অপরাধিদের ফাঁসির দাবী নিয়ে আগামীদিনে আন্দোলনের ডাক দিলেন।যদি প্রষাশনের কোন সদর্থক ভূমিকা না থাকে এবং দোষীকে ফাঁসি দেওয়া না হয় তা হলে বৃহত্তর আন্দোলন পথে নামতে চলেছে অখিল ভারত হিন্দু মহাসভা বলে জানালেন পৃথ্বীষ দাগগুপ্ত।