ফের হিন্দু ধর্মে আঘাত, পাকিস্তানে আবারও ভাঙা হল মন্দির! কফি হাউসের নামে শারদাপীঠে হামলা

বাংলা হান্ট ডেস্ক: ফের নক্কারজনক ঘটনা পাকিস্তানের (Pakistan)! কফি হাউস বানানোর নামে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে পণ্ডিতদের প্রধান তীর্থক্ষেত্র শারদাপীঠ (Sharada Peeth)মন্দিরের প্রাচীর ভেঙে ফেলা হয়েছে। ওই জায়গায় ইতিমধ্যেই ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করা হয়েছে। যার জেরে কাশ্মীরি পণ্ডিত সম্প্রদায়ের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

উল্লেখ্য, পাকিস্তানে একের পর এক মন্দির ধ্বংসের খবর প্রায়শই পাওয়া যায়। এবার এমন এক মন্দিরকে টার্গেট করেছে পাক সেনা, যে মন্দিরের সঙ্গে জড়িয়ে ভারতীয়দের শ্রদ্ধা এবং ভক্তি।

পাক অধিকৃত কাশ্মীরের নীলম নদীর তীরে পাহাড়ি গ্রাম শারদা। সেখানেই রয়েছে সুপ্রাচীর তীর্থক্ষেত্র শারদাপীঠ। আর সেই শারদাপীঠের জমি দখল করতে উঠে পড়ে লেগেছে পার্ক আর্মি। কিন্তু পাকিস্তানের সেনাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে ওঠা স্থানীয়রা রীতিমতো বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন।

উল্লেখ্য, স্বাধীনতার পর প্রথমবারের মতো এখানে এবছরে দীপাবলি অনুষ্ঠিত হয়। খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এলওসির কাছে মাতা শারদা দেবী মন্দিরের উদ্বোধন করেছিলেন। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও মন্দিরটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। মন্দিরের কাছে একটি কফি হাউস নির্মাণেরও ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে বলে খবর।

sharada temple

এদিকে স্বাধীনতার সময় পাকিস্তানে হিন্দু ছিল ২১ শতাংশ। সেই সংখ্যায় এখন নেমে এসেছে মাত্র এক শতাংশে! এই হিন্দু জনগোষ্ঠীর বিশ্বাসের প্রতীক ছিল শারদাপীঠ মন্দির। বিশ্বের আটটি মহা শক্তিপীঠের মধ্যে অন্যতম। তবে এটিই প্রথম হিন্দু মন্দির ভাঙচুরের ঘটনা নয়। পাকিস্তান হিন্দু রাইটস মুভমেন্টের রিপোর্ট অনুযায়ী, স্বাধীনতার ৭৬ বছর পরেও ৪২৮টি মন্দিরের মধ্যে এখন মাত্র ২০টি মন্দির অবশিষ্ট রয়েছে।

Monojit

সম্পর্কিত খবর