বাংলা হান্ট ডেস্ক: বাংলাদেশে (Bangladesh) শেখ হাসিনার সরকারের পতন এবং মোহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে হিন্দুদের বিরুদ্ধে হিংসাত্মক ঘটনা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এমনকি, কিছু জায়গায় হিন্দু মন্দির পর্যন্ত ভেঙে ফেলা হচ্ছে। আবার কিছু কিছু জায়গায় হিন্দুদের ওপর অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করার ঘটনাও সামনে এসেছে।
বাংলাদেশে (Bangladesh) হিন্দু মহিলাকে ধর্ষণ:
তবে, এবার একটি অত্যন্ত বর্বরোচিত ঘটনা ঘটেছে বাংলাদেশ (Bangladesh)। যেটি ইতিমধ্যেই আলোড়ন ফেলেছে সর্বত্র। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, বাংলাদেশে ২৫ বছর বয়সী এক হিন্দু যুবতীকে ধর্ষণ করা হয়েছে। ওই যুবতীর অভিযোগের পর, অভিযুক্ত ফজর আলীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। উল্লেখ্য যে, ওই অভিযুক্ত বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (BNP) একজন নেতা বলেও গিয়েছে। এখনো পর্যন্ত এই ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছেন মোট ৫ জন।

নির্যাতিতার ভিডিও রেকর্ড করা হয়েছে: বাংলাদেশের (Bangladesh) মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, পুলিশ এই ঘটনার সাথে জড়িত ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে। তাদের মধ্যে প্রধান অভিযুক্ত হল ফজর আলী। এমনকি, নির্যাতিতার ভিডিও রেকর্ড করে সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করার জন্য আরও ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৬ জুন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ২৫ বছর বয়সী ওই হিন্দু যুবতী প্রায় ১৫ দিন আগে রামচন্দ্রপুর পাচকিত্তা গ্রামে তাঁর বাপের বাড়িতে আসেন। ওই দিন রাত ১০ টা নাগাদ গ্রামের ৩৮ বছর বয়সী ফজর আলী দিকে নির্যাতিতার বাপের বাড়িতে প্রবেশ করে। নির্যাতিতার স্বামী দুবাইতে কাজ করেন। স্থানীয় উৎসব “হরিসেবা” উদযাপনের জন্য ওই যুবতী তাঁর সন্তানদের সাথে কয়েকদিনের জন্য তাঁর বাবার বাড়িতে এসেছিলেন বলেও জানা যায়।
আরও পড়ুন: T20 বিশ্বকাপ জয়ের এক বছর পূর্ণ! আবেগঘন ভিডিও শেয়ার করে অনুরাগীদের মন জিতলেন রোহিত
ফজর জোর করে ঘরে ঢুকে পড়ে: জানা গিয়েছে, নির্যাতিতা দরজা খুলতে না চাইলে, ফজর আলী জোর করে ঘরে ঢুকে তাঁকে ধর্ষণ করে এবং মারধরও করে। বিষয়টি জানাজানি হতেই স্থানীয় লোকজন ফজর আলীকে ধরে ফেলে এবং বেধড়ক মারধর করে, তবে সে ঘটনাস্থল থেকে পালাতে সক্ষম হলেও পুলিশ ২৯ জুন অর্থাৎ রবিবার ভোর ৫ টার দিকে ঢাকার সায়দাবাদ এলাকা থেকে ফজর আলীকে গ্রেফতার করে।
আরও পড়ুন: Airtel, BSNL এবং Vi-কে হেলায় হারাল Jio! TRAI-র নতুন রিপোর্টে দাপট দেখালেন আম্বানি
ঘটনাটির তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ: এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, গত ২৭ জুন অর্থাৎ শুক্রবার নির্যাতিতার লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে, ফজর আলীর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করা হয়। ইতিমধ্যেই মুরাদনগর (Bangladesh) পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। এদিকে, এই ঘটনার পর এলাকায় বিক্ষোভ দেখা যার। হিন্দু মহিলার ওপর এই নৃশংস ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই উত্তেজিত হয়ে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। এমনকি, সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই এই ঘটনা তীব্র সমালোচনা করেছেন। শুধু তাই নয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলে বৃক্ষ প্রদর্শন করেন শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে “মেরে সোনার বাংলা মে ধর্ষক নেহি হ্যায়” স্লোগানও তোলা হয়।
মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।