বাংলাহান্ট ডেস্ক : সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) নির্দেশে আগে জামিন পেলেও পুনরায় পাতিয়ালা হাউস কোর্টের নির্দেশে মামলা শুরু হয়।এবার তাতে জামিন পেলেন মহম্মদ জুবের। তবে জামিন পেলেও এখনই মুক্তি পাচ্ছে না তিনি, আদালতের নির্দেশে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে আছেন তিনি।
২০১৮ সালের করা একটি টুইট থেকে তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের হয়। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল যে তিনি ধর্মীয় ভাবাবেগকে আহত করেছেন। তার জামিন মঞ্জুর করার সময় আদালতের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে কোন রাজনৈতিক দলের বিরোধিতা করা মানেই কোন ধর্ম বা তারা ভাবাবেগকে আঘাত করা নয়।
পাটিয়ালা হাউসকোর্টের মতানুসারে, সুস্থ ও গণতন্ত্রের জন্য বিরোধী কণ্ঠস্বরের উপস্থিতি খুব প্রয়োজন আছে কিন্তু তার মানে এই নয় যে সেই বিরোধী কণ্ঠস্বর যেকোনো ধর্মকে আঘাত করতে পারে , এবং বিরোধী কণ্ঠস্বর বলেই তাকে ১৫৩ এ ২৯৫ এ ধারায় অভিযুক্ত করা যেতে পারে না। প্রসঙ্গত জুবেরের বিরুদ্ধে ধর্মের আছিলায় রাজনৈতিক অশান্তি সৃষ্টি জন্য ১৫৩ এ ধারায় এবং ধর্মীয় ভাবাবেগ কে আহত করার জন্য ২৯৫ এ ধারায় অভিযুক্ত করা হয়।
পাটিয়ালা হাউজ কোর্টের বিচারপতি এটাও বলেন যে সনাতন হিন্দুধর্ম খুবই সহনশীল এবং সনাতন হিন্দু ধর্মের মানুষেরাও খুবই সহনশীল। তারা তাদের সন্তানদের নাম হিন্দু ধর্মের দেব দেবীদের নামানুসারে রাখতে পছন্দ করেন এবং অনেক ক্ষেত্রে হিন্দুরা তাদের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামও হিন্দু ধর্মের দেবদেবীদের নাম অনুসারে রেখে থাকেন। তাই জুবেরের করা যে ছবিটি শেয়ার করা হয়েছিল সেখানে দেখা গিয়েছিল যে হানিমুন হোটেলের নাম পরিবর্তন করে হনুমান হোটেল রাখা হয়েছে, শুধুমাত্র এই কারণে তাকে ১৫৩ বা ১৯৫ এ ধারায় অভিযুক্ত করা যায় না। এটি যুক্তিসঙ্গত নয়।
আদালত এটিও জানিয়েছে যে দিল্লী পুলিশ জুবেরের বিরুদ্ধে কোনো ধর্মীয় ভাবাবেগকে আহত করার মতো কোনো যুক্তি সঙ্গত প্রমাণ দেখাতে পারেননি। এমনকি দিল্লি পুলিশ জুবেরের করা টুইটের প্রভাব কোন ব্যক্তির উপর পড়েছে সেটিও দেখাতে পারেননি।
অন্যদিকে তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের করা মোট সাতটি অভিযোগ কে খারিজ করার জন্য সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন জুবের কিন্তু সাম্প্রতিকভাবেই আবারো উত্তরপ্রদেশে জুবেরের বিরুদ্ধে নতুন করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মোহাম্মদ জুবেরের বিরুদ্ধে কড়া সমস্ত অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য তিনি যে শুধু সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তাইই নয় তিনি তার জামিনের আর্জিও জানিয়েছেন কোর্টে।
তবে আদালত সূত্রে খবর, জামিনের নির্দেশ পেলেও জুবেরকে জামিন দেওয়া হয়েছে কয়েকটি শর্তসাপেক্ষে। ব্যক্তিগতভাবে ৫০ হাজার টাকার বন্ড দিতে হয়েছে তাকে, এমনকি তিনি দেশের বাইরে কোথাও যেতে পারবেন না এই শর্ত রাখা হয়েছে আদালতের তরফ থেকে।