বাংলাহান্ট ডেস্কঃ সম্প্রতি ইসলামাবাদে (Islamabad) তৈরি হওয়া প্রথম মন্দির (Temple) নিয়ে বিতর্ক চরমে। কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা পাকিস্তানের ইসলাবাদেই আছে আরো একটি মন্দির যেখানে উপাসনা করতে মানা হিন্দুদের। পাশাপাশি মন্দিরের রক্ষণাবেক্ষণ করেন মুসলিমরাই।
হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত এই মন্দিরের সাথে জড়িয়ে আছে মিথও। বিশ্বাস করা হয় ১৪ বছর বনবাসে সময় শ্রীরাম, লক্ষ্মণ ও সীতাকে নিয়ে এই স্থানে থাকতেন। পরবর্তী সময়ে সেই স্থানেই গড়ে উঠেছে মন্দিরটি।
ইতিহাস বলে মন্দিরটি তৈরি হয়েছিল ষোড়শ শতকে। সেই হিসাবে মন্দিরের সাথে জড়িয়ে আছে ৪০০ বছরের ইতিহাস। তথ্য বলছে এখানে ১৮৯৩ সাল থেকে প্রতি বছর মেলা বসত। জনশ্রুতি অনুযায়ী রাম এখানে একটি পুকুরও খনন করেছিলেন। যা বর্তমানে আবর্জনা স্তূপ হয়ে গিয়েছে।
১৯৪৭ সালে পাকিস্তান স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই এই মন্দিরে উপাসনা করতে পারে না হিন্দুরা। পাকিস্তান সরকার সেটিকে ট্যুরিস্ট স্পট বলে ঘোষনা করেছে। সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে মূর্তিগুলিকে। মন্দির চত্বরেই রমরমিয়ে চলছে হস্তশিল্প ও রেস্টুরেন্টের ব্যাবসা
হিন্দু কর্মী সোওয়াই লাল আরব নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘সরকার এই জায়গাটি ঐতিহ্য হিসাবে সংরক্ষণ করেছে, কিন্তু এই কমপ্লেক্সে রেস্তোঁরা ও দোকান চালানোর অনুমতি দিয়ে সরকার। যা এই স্থানটির পবিত্রতা লঙ্ঘন করছে।’
এই মুহুর্তে ইসলামাবাদের অধিবাসী ৩০০০ হিন্দুর জন্য একটিও মন্দির নেই। 1960 সালে, এই রাম মন্দির কমপ্লেক্সটি একটি গার্লস স্কুলে রূপান্তরিত হয়েছিল। হিন্দু সম্প্রদায়ের বহু বছরের বিক্ষোভের পরে, স্কুলটি স্থানান্তরিত করা হয়েছিল এবং 2006 সালে মন্দিরটি খালি করে দেওয়া হয়েছিল তবে হিন্দুদের সেখানে পূজা করতে দেওয়া হয়নি।