বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে দীর্ঘদিন অব্যবহৃত হিন্দুস্তান মোটরসের (Hindustan Motors) মোট ৩৯৫ একর জমি ইতিমধ্যেই ফেরত পেয়েছে রাজ্য সরকার। আর এই বিশাল জমিকেই শিল্পযোগ্য করে তুলতে এখন থেকেই দ্রুত পদক্ষেপ নিচ্ছে রাজ্য। আসন্ন শিল্প সম্মেলনের আগেই জমি প্রস্তুত করতে চাইছে শিল্পন্নয়ন নিগম। সেই কারণেই শুরু হয়েছে জমির ব্যাপক ও বিস্তারিত সমীক্ষার কাজ।
জমির প্রকৃতি থেকে ভবিষ্যৎ পরিকাঠামো, সবই খতিয়ে দেখছে সমীক্ষা দল
নিগম সূত্রে জানা গেছে, সমীক্ষায় জমির প্রকৃতি, উচ্চতা, প্রাকৃতিক সীমানা, সব তথ্যই বিশদভাবে সংগ্রহ করা হচ্ছে। পাশাপাশি ভবিষ্যতের পরিকাঠামো তৈরি করতে কী কী দরকার হবে, তাও নথিভুক্ত করা হচ্ছে। ধাপে ধাপে আরও বেশ কয়েকটি কাজও করা হবে বলে দপ্তর জানিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে—
- মৌজা মানচিত্রে সমীক্ষা তথ্য বসানো
- D-GPS ভিত্তিক রেফারেন্স পিলার স্থাপন
- সঠিক লেভেল মাপ
- কন্টুর লাইন প্রস্তুত
এগুলি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে জানিয়েছেন শিল্পন্নয়ণ নিগমের আধিকারিকরা। তাঁদের কথায়, শিল্পপ্লট তৈরি করার সময় জমির চরিত্র নির্ধারণ এবং প্রযুক্তিগত ভিত্তি খুবই জরুরি। এ ছাড়াও জলনিকাশী ব্যবস্থা, সীমানা তৈরি-সহ একাধিক বিষয়ও খতিয়ে দেখা হবে।
দপ্তর সূত্রের দাবি, হিন্দ মোটর (Hindustan Motors এলাকার আশপাশে থাকা গুরুত্বপূর্ণ পরিকাঠামোর অবস্থানও এই সমীক্ষায় তুলে ধরা হবে। যেমন—
- নিকটতম রেলস্টেশন
- বৈদ্যুতিক সাবস্টেশন
- রাজ্য ও জাতীয় সড়কের দূরত্ব
- পরিবহন সুবিধা
- সম্ভাব্য সীমাবদ্ধতা
পরে মাস্টার প্ল্যান তৈরির সময় এই তথ্যই জমির চূড়ান্ত ব্যবহার ঠিক করতে সাহায্য করবে।
ভৌগলিক অবস্থানেই সুবিধা দেখছে দপ্তর
হিন্দ মোটর (Hindustan Motors) for অঞ্চলটি কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথরিটির আওতায় পড়ে। একদিকে জিটি রোড, অন্যদিকে হিন্দ মোটর স্টেশন—ফলে জমির অবস্থান ভৌগলিক ভাবে অত্যন্ত সুবিধাজনক। দপ্তর মনে করছে, এই এলাকায় হালকা ও মাঝারি শিল্প গড়ে তোলার মতো উপযুক্ত পরিবেশ রয়েছে।

আরও পড়ুনঃ ‘উপমুখ্যমন্ত্রী হওয়ার খুব শখ!’ নন্দীগ্রামেই কি লড়তে নামছেন অভিষেক? বিস্ফোরক দাবি সুকান্তের
শিল্প সম্প্রসারণের বড় কেন্দ্র হতে পারে হিন্দ মোটর (Hindustan Motors)
পরিকল্পনা, মানচিত্রায়ন এবং প্লট বিভাজনের কাজ শেষ হলে হিন্দ মোটরের (Hindustan Motors) বিস্তীর্ণ জমিই শিল্প সম্প্রসারণের বড় কেন্দ্র হয়ে উঠবে বলে মনে করছেন আধিকারিকরা। রাজ্যের শিল্পায়ন ক্ষেত্রে নতুন দিগন্তের সম্ভাবনাও দেখছেন অনেকে।












