বাংলাহান্ট ডেস্ক: শীতের রাতে গৃহহীন মানুষদের উষ্ণতা পৌঁছে দিয়ে প্রশংসা ও মানুষের আশীর্বাদ কুড়োলেন খড়গপুরের বিধায়ক তথা অভিনেতা হিরণ চট্টোপাধ্যায় (hiran chatterjee)। খড়গপুর স্টেশন ও তার আশপাশের এলাকায় ফুটপাতবাসী মানুষদের গায়ে নিজে হাতে গরম কম্বল ঢাকা দিলেন তিনি। তাঁর এই উদ্যোগে ধন্য ধন্য করছে সকলে।
২৫ ডিসেম্বর সকলে যখন বড়দিন পালনে মত্ত তখন খড়গপুরে দেখা যায়নি হিরণকে। আসলে এদিন ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর জন্মবার্ষিকীও ছিল। তাই খড়গপুরে ছিলেন না তিনি। তারপর দিন অর্থাৎ রবিবার খড়গপুরে সারা দিন ব্যাপী কর্মসূচী ছিল সাংসদ তথা বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের।
তিনি শহর ছাড়ার পরপরই খড়গপুরে পা রাখেন হিরণ। তখন রাত প্রায় সাড়ে দশটার কাছাকাছি। গরম কম্বল, শীতবস্ত্র নিয়ে খড়গপুর স্টেশন চত্বর সংলগ্ন এলাকায় পৌঁছান তিনি। ফুটপাতবাসী দরিদ্র মানুষদের হাতে তুলে দেন গরম বস্ত্র। হিরণ জানান, এর আগে খড়গপুরে বন্যার সময়েও তিনি পাশে থেকেছেন বাসিন্দাদের। জলের মধ্যে দাঁড়িয়ে ত্রাণ বিতরণ করেছেন। তাই অটল বিহারী বাজপেয়ীর জন্মদিনে যে তিনি কিছু বিশেষ উদ্যোগ নেবেন তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
হিরণ বলেন, তিনি যাওয়া আসার পথে ফুটপাতবাসী এই অসহায় মানুষগুলোকে দেখেছেন। এদের সকালে দেখা না গেলেও রাতে এখানেই থাকেন এরা। এদের কষ্ট দেখেই পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছেন তিনি। বড়দিন তথা বাজপেয়ীর জন্মদিনের পরেই এই শুভ উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি।
এর আগে খড়গপুর ছেয়ে গিয়েছিল দিলীপ ঘোষকে অভিনন্দন জানিয়ে পোস্টারে। সেখানে মধ্যমণি হয়ে বিরাজ করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি, সঙ্গে রয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী, অমিত মালব্য, সুকান্ত মজুমদাররা। কিন্তু একটি হোর্ডিংয়েও দেখা মেলেনি বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের।
বিষয়টা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন অভিনেতা বিধায়ক। নাম না করে তাঁর কটাক্ষ, “আমি মানুষের জন্য কাজ করি। আমি নিজে ছবি লাগাই না।” পাশাপাশি তিনি এও জানিয়েছেন, বিষয়টা জে পি নাড্ডা, কৈলাস বিজয়বর্গীয়, শুভেন্দু অধিকারীদের জানানো হয়েছে। দলের নিয়ম মেনেই যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেওয়া হবে।
অপরদিকে দিলীপ ঘোষের বক্তব্য ছিল, কে কোথায় ছবি লাগায় তিনি জানেন না। হয়তো পছন্দের নেতাদের ছবি লাগানো হয়েছে। তিনি আরো কটাক্ষ করেন, যিনি এমন কথা বলেছেন তিনি দলের সংষ্কৃতি সম্পর্কে কিছুই জানেন না।