বাংলাহান্ট ডেস্ক: ক্ষোভ নিয়ে ছেড়েছিলেন তৃণমূল। বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপিতে (bjp) যোগ দেন হিরণ চট্টোপাধ্যায় (hiran chatterjee)। নির্বাচনে লড়ার টিকিট পেয়ে খড়গপুর বিধানসভা কেন্দ্রের নব নির্বাচিত বিধায়কও হয়েছেন তিনি। শপথ গ্রহণের পর থেকে আর কলকাতায় ফেরেননি হিরণ। নিজের বিলাসবহুল ফ্ল্যাট ছেড়ে তাঁর নতুন আস্তানা এখন নিজের বিধানসভা কেন্দ্রের এক আশ্রম।
খড়গপুর সদরের মধ্যে থেকে কাজ করার জন্যই এই পন্থা বেছে নিয়েছেন হিরণ। প্রথম প্রথম কোনো স্থায়ী ঠিকানা তাঁর ছিল না বলেই জানান অভিনেতা। তবে এই আশ্রমের ঠিকানা ঘনিষ্ঠ কয়েকজন বিজেপি নেতা ছাড়া আর কাউকেই জানাননি তিনি। এই বিষয়ে হিরণ জানান, তাঁর সঙ্গে কয়েকজন বিজেপি কর্মীও থাকছেন আশ্রমে। তাদের নিরাপত্তার দিকটা খেয়াল রাখতে হচ্ছে হিরণকে। তাছাড়া আশ্রমে যাতে ভিড় না হয় সেই কারণেও ঠিকানা গোপন রেখেছেন তিনি।
শপথ নিয়েই কোমর বেঁধে কাজে নেমে পড়েছেন হিরণ। করোনা পরিস্থিতিতে কার্যত লকডাউনের মধ্যেই তাঁর পক্ষে যতটা সম্ভব তিনি করছেন বলে জানিয়েছেন বিজেপি বিধায়ক। তিনি অভিযোগ করেন, খড়গপুরে অনেক বিজেপি কর্মীর বাড়িতে পানীয় জলের লাইন কেটে দেওয়া হয়েছে। কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার লকডাউনের মধ্যে বাইরে বেরিয়ে কাজ করার ‘পাস’ নেই। এই সব বিষয়ে উদ্যোগ নিচ্ছেন হিরণ।
হাসপাতালে বেড বাড়ানোর ব্যাপারেও কথাবার্তা বলছেন তিনি। ইতিমধ্যেই রেলের হাসপাতালে করোনা রোগীর বেডের সংখ্যা ৩০ থেকে ৬৫ করা হয়েছে তাঁর কথায়। রেলের একটি যক্ষ্মা হাসপাতাল বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে। সেখানে একটি সেফ হোম চালু করার চিন্তা ভাবনা করছেন হিরণ। সেই সঙ্গে আইআইটি খড়গপুরের হাসপাতাল আবার চালু করা যায় কিনা সেই বিষয়ে ডিরেক্টরের সঙ্গে কথাবার্তা বলেছেন তিনি।
আপাতত একজন আশ্রমবাসীর জীবন যাপন করছেন হিরণ। রান্না, বাসন মাজা সব করছেন নিজে হাতে। খাবারের মেনুতে রোজই প্রায় ভাত, ডাল, তরকারি। কলকাতার ফ্ল্যাটে এখন না ফিরলেও নিয়ম করে রোজ স্ত্রী, কন্যার সঙ্গে কথা বলেন হিরণ। সেই সঙ্গে সমস্যায় পড়লে সমাধান হিসাবে তো রয়েছেনই দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।