পাকিস্তানে খুন ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি, অজ্ঞাত পরিচয়ের গুলিতে ঝাঁঝরা হিজবুল সংস্থাপক

বাংলা হান্ট ডেস্ক : হিজবুল মুজাহিদিনের কম্যান্ডার (Hizbul commander) বশির আহমদ পীর (Bashir Ahmad Pir) ওরফে ইমতিয়াজ আলমকে গুলি করে খুন করা হল পাকিস্তানে। বশির হিজবুল সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ মাথা ছিল। ভারতেও বশিরকে ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ জঙ্গির তকমা দেওয়া হয় গত বছর। বশির ভারতের নানা জায়গায় নাশকতার ছক কষছে বলে সতর্ক করেছিল দেশের একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা।

জানা যাচ্ছে, বশির আহমদ পীরকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেওয়া হয়েছে। কাশ্মীরের একাধিক সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে বশিরের বিরুদ্ধে। সোমবার সন্ধেয় ইসলামাবাদের রাওয়ালপিন্ডিতে একটি দোকানের বাইরে গুলি করে হত্যা করা হয় তাকে। পাকিস্তানের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর এখনও পর্যন্ত কে বা কারা এই ঘটনায় দায়ি তা জানা যায়নি।

জানা যাচ্ছে, হিজবুলের শীর্ষ স্থান দখলের দৌড়ে রয়েছে একাধিক সন্ত্রাসবাদী। সোপিয়ানের বাসিন্দা ও বর্তমানে ওই জেলার দায়িত্বে থাকা সাদ্দাম পাদার ২০১৫ সালে হিজবুলে যোগদান করে। বুরহান গোষ্ঠীর ওই সদস্য কিছুটা নরমপন্থী এবং কাশ্মীরের হিন্দু পন্ডিতদের ফিরিয়ে আনার পক্ষেও সরব। বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর পরে পরবর্তী নেতা হিসেবে সাদ্দামের নাম উঠে এলেও শেষ পর্যন্ত দায়িত্ব পায় জাকির মুসা। নাম উঠে আসছে বদগামের বাসিন্দা ইয়াসিন আইটোও। ২০১৫ সালে হিজবুলে নাম লেখানো ৪০ বছর বয়সী ইয়াসিন এই তালিকায় সবচেয়ে পুরনো। এরপরই হিজবুলের প্রধান হিসেবে উঠে আসে বশিরের নাম।

২০০০ সাল থেকে জঙ্গি কার্যকলাপে যুক্ত ছিল বশির। হিজবুল জঙ্গিদের তৃতীয় শীর্ষনেতা বলে পরিচিত এই জঙ্গিনেতার কাজ ছিল হিজবুলের নেটওয়ার্ককে আরও প্রসারিত করা। ভারত থেকে তরুণদের মগজ ধোলাই করে জঙ্গি দলে নিয়ে আসাও ছিল বশিরের প্রধান কাজ। এরই সঙ্গে অস্ত্রশস্ত্র সরবরাহ করা, ফান্ড জোগাড় করা ইত্যাদি দায়িত্বও সামলাত বশির। দেশের হিজবুল সংগঠনের পরিচালনাও করত এই জঙ্গি নেতা। গত বছর বশিরকে মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি হিসেবে ঘোষণা করে দিল্লি।

হিজবুলের ‘লঞ্চিং কম্যান্ডার’ বলা হত বশিরকে। হিজবুল প্রধান সৈয়দ সালাহুদ্দিনের ঘনিষ্ঠ এবং হিজবুল জঙ্গিদের তৃতীয় শীর্ষনেতা বলে পরিচিত তিনি। ভারতে জঙ্গি পাঠানো, জঙ্গিদের দলে নিয়োগ, পাকিস্তান থেকে চোরা পথে ভারতে জঙ্গি কার্যকলাপ চালানোর অস্ত্র এবং অর্থ সাহায্য পাঠানোর দায়িত্ব ছিল বশিরের উপরই। ২০১৯ সালের মে মাসে তার বিরুদ্ধে কাশ্মীরে আল কায়েদা জঙ্গিগোষ্ঠীর এক শাখার প্রধান কম্যান্ডারকে হত্যার অভিযোগ উঠেছিল।