দশম শ্রেণি পর্যন্ত ছিল না কোনও শিক্ষক, মায়ের কাছে পড়েই কৃষ্ণনগরের নবারুণ ডাক পেলেন ISRO-তে

বাংলাহান্ট ডেস্ক : মানুষ চেষ্টা করলে কি না পারে! ঠিক তেমনই এক রূপ কথাকে বাস্তব করে দেখালেন নদীয়ার কৃষ্ণনগরের বাসিন্দা। ছোটবেলায় বাবার কাছে গল্প শুনতেন মহাকাশ বিজ্ঞানীদের ব্যাপারে। তখন থেকে তিনিও স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন বড় হয়ে মহাকাশ বিজ্ঞানী হবেন। বাড়িতে বলেনও সেই কথা। সেই স্বপ্নই এবার সত্যি করে দেখালেন নদীয়ার কৃষ্ণনগরের চাঁদসড়ক এলাকার বাসিন্দা নবারুণ পোদ্দার। ভারতীয় গবেষণা সংস্থা ইসরো (Indian Space Research Organisation) থেকে নবারুণ ডাক পেয়েছেন।

   

বাড়ির ছেলের এই সাফল্যে স্বাভাবিকভাবেই খুশি পরিবারসহ আত্মীয়-স্বজনেরা। নবারুণ ছোটবেলায় কৃষ্ণনগরের একটি বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম বিদ্যালয় পড়াশোনা করেন। ছোটবেলা থেকেই তিনি পড়াশোনায় অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র ছিলেন। অন্যদিকে, দশম শ্রেণি পর্যন্ত ছিল না কোন প্রাইভেট টিউটর। মায়ের কাছেই তিনি পড়তেন বাড়িতে। শুরু থেকেই বিজ্ঞান বিষয় নবারুণের আগ্রহ ছিল চোখে পড়ার মতো।

এরপর বেনারস হিন্দু ইউনিভার্সিটি থেকে নবারুণ ফিজিক্স নিয়ে এমএসসি পাস করেন। তারপর ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেসনে (ইসরো) জ্যোতির্বিজ্ঞান বিষয় রিসার্চ করার জন্য আবেদন করেন। কৃষ্ণনগরের এই বাঙালি ছেলেকে কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছে ইসরো। কৃষ্ণনগরের ছেলে নবারুণ পোদ্দার শুক্রবার তাঁর স্বপ্নের পথে এগিয়ে গেলেন আরও এক ধাপ।

Krishnanagar isro

আপাতত নবারুণ রিসার্চ স্কলার হিসেবে যোগদান করবেন ভারতীয় মহাকাশ সংস্থায়। কৃষ্ণনগরের এই যুবক জানিয়েছেন যে ভবিষ্যতে তাঁর মহাকাশ গবেষণা নিয়েই কাজ করার ইচ্ছে রয়েছে। নবারুণের এই অসাধারণ সাফল্যে স্বাভাবিকভাবেই আনন্দ ও গর্বে বুক ফুলেছে কৃষ্ণনগরবাসীর। নবারুণের এই সাফল্য স্বপ্ন দেখাচ্ছে এলাকার অন্যান্য পড়ুয়াদেরও।

Avatar
Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর