বাংলা হান্ট ডেস্ক : কেন্দ্রীয় বাহিনীর (Central Force) ২২ কোম্পানির কমান্ড আধিকারিকদের ফোন নম্বর প্রকাশ করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। কোনও ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে, সে কারণেই এমন সিদ্ধান্ত বলে দাবি করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর দাাবি, কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিতে কোনও আক্রমণের ঘটনা ঘটলে, তার দায় বাহিনীর ওপরেই পড়বে। তাই ফোন করলে অভিযোগ শুনে ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে তারা।
কলকাতা হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার নির্দেশ দিয়েছিল। প্রাথমিকভাবে ২২ কোম্পানি চাওয়া হয়েছিল কেন্দ্রের কাছে। সেই ২২ কোম্পানির কমান্ড আধিকারিকদের নাম ও ফোন নম্বর প্রকাশ করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, কেন্দ্রীয় বাহিনীর আধিকারিকদের সঙ্গে জনপ্রতিনিধি থেকে সাধারণ মানুষ প্রত্যেকেই যোগাযোগ করতে পারবে। যদি ভোটের সময় কোনও অশান্তি হয়, ভোটের আগে যদি প্রচারে বাধা দেওয়া হয়, কোনও প্রার্থীর উপর যদি আক্রমণ করা হয়, তাহলে তাঁরা সঙ্গে সঙ্গে ওই আধিকারিকের সঙ্গে যোগাযোগ করে অভিযোগ জানাতে পারবে।
এদিন রাজ্যের বিরোধী দলনেতার দাবি, এই ব্যবস্থায় ভোট হলে রাজ্য পুলিস কোনও প্রভাব খাটাতে পারবে না। তিনি আরও বলেন,’যদি আদালতের নির্দেশ কোনওভাবে লঙ্ঘন হয়, তাহলে আমি আবার আদালতে যাব।’ কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ হন শুভেন্দু। তাঁর করা মামলায় হাইকোর্ট বাহিনী মোতায়েন করার নির্দেশ দিয়েছিল। পরে সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করলেও সুপ্রিম কোর্টও কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপরেই ভরসা রাখার কথা বলে। আদালতের নির্দেশেই ৮২২ কোম্পানি বাহিনী চেয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
যে জেলাগুলিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী পৌঁছে গিয়েছে সেই জেলাগুলিতে অবিলম্বে কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুট মার্চ শুরু করার নির্দেশ দুল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। মনোনয়ন পর্বে বা অতীত অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে যে জায়গাগুলিতে অশান্তির ঘটনা ঘটেছে, সেখানে রুটমার্চ শুরু করাতে হবে বলে জানানো হয়েছে।
রাজ্য নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ প্রত্যেক জেলার এসপি, সিপিদের জানানো হয়েছে। প্রথম দফায় ২২ কোম্পানির কেন্দ্রীয় বাহিনী বেশিরভাগ জেলাতেই পৌঁছে যাচ্ছে। সেই বাহিনীকে দিয়েই স্পর্শকাতর অঞ্চলগুলিতে রুট মার্চ শুরু করানোর নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের।