বাংলাহান্ট ডেস্কঃ হংকং-র (Hong Kong) নেতাকর্মীরা সেখানকার যুব সম্প্রদায়কে উস্কে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করছে চীন (china) সরকার। গণতন্ত্রের এই বিরুদ্ধাচারণ দেখে বেজিং বলেছে, শিক্ষার্থীদের লড়াইয়ের জন্য প্রশিক্ষিত করা হচ্ছে। তাইওয়ানের এক স্থানীয় সংবাদমাধ্যম হংকং ও চীনের ম্যাকাও বিষয়ক কার্যালয়ের পক্ষে এক প্রতিবেদন পেশ করে।
হংকং-এর স্বাধীনতায় চীনের হস্তক্ষেপ
হংকংবাসীর স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করতে শুরু করে দিয়েছে চীন সরকার। হংকং চীনের অধীনস্ত হলেও, কিছু কিছু ক্ষেত্রে তারা তাঁদের নিয়ম কানুন মানতে নারাজ। বেশ কয়েকটি নিয়ম জারী করে হংকংবাসী নিজেদের মধ্যে চালু রেখেছিল। কিন্তু বর্তমানে কোণঠাসা চীন সরকার তাঁদের সেইসব স্বাধীনতা খর্ব করে একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করতে চাইছে।
হংকং-র অভিযোগ
তাইওয়ানের প্রতিবেদনে একজন আধিকারিক অভিযোগ করেছেন, হংকং-এর রাজনৈতিক দল ডেমোকিস্টো এবং দলের সদস্যরা জাতীয় নিরাপত্তা আইনের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়গুলিতে ছাত্র ছাত্রীদের উস্কে দিচ্ছে। পাশাপাশি তিনি আরও দাবী করেন, হংকংয়ের বর্তমান শিক্ষাগত পরিবেশ ছাত্র ছাত্রীদের ‘এক দেশ, দুটি নিয়ম’ এই নীতির বিরুদ্ধে শিক্ষা দিচ্ছে।
তাঁদের দাবী হংকং বিষয়ক চীনের সুরক্ষা আইন দেশদ্রোহীতা, সন্ত্রাসবাদ, বৈদেশিক হস্তক্ষেপ ও জোরজারি করা থেকে বিরত থাকবে। যার আয়ত্তায় চীনের সুরক্ষা পারিষদ হংকং পরিচালনা করবে।
দোষ দেওয়ার জন্য লোক খুঁজছে চীন
হংকং-এর অশান্তির জন্য অভিযুক্ত নাগরিক পার্টির সভাপতি অ্যালান লেওং বলেছেন, চীনের কমিউনিস্ট পার্টি হংকং-এর ঝামেলার দোষ দেওয়ার জন্য লোক খুঁজছে। তিনি আরও বলেন চীনের কমিউনিস্ট পার্টি এই হিংসার জন্য হংকংয়ের শিক্ষাব্যবস্থা, অন্যান্য দেশের সাথে সম্পর্ক এবং স্বাধীনতাকে দোষারোপ করে। কিন্তু কখনই নিজেদের দোষ দেখতে পায় না তারা।