বাংলাহান্ট ডেস্ক : আবারও অনার কিলিং (Honour Killing) বা সম্মান রক্ষার্থে খুনের সাক্ষী থাকল উত্তর প্রদেশ (UP)। পড়শি যুবকের সঙ্গে প্রেমে সম্পর্ক ছিল বোনের। তা কোনও ভাবেই মেনে নিতে পারেননি যুবক। রাগের বশে তাই ধারালো অস্ত্র দিয়ে বোনকে কুপিয়ে খুন করলেন তিনি। খুনের পর নিজেই থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করলেন অভিযুক্ত যুবক। বৃহস্পতিবার এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের গোন্ডা জেলায়।
পুলিস সূত্রে জানা যাচ্ছে, অভিযুক্ত যুবকের নাম কালিম। বৃহস্পতিবার কাতরা বাজার থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করে ওই যুবক। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, তাঁর ১৬ বছর বয়সি বোনের সঙ্গে পাড়ারই এক যুবকের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ওই যুবক হিন্দু ধর্মের হওয়ায় তাঁর সঙ্গে মেলামেশা করতে বারণ করেন কালিম। কিন্তু দাদার কথা শোনেনি বোন। তিন মাস আগে, ওই যুবকের সঙ্গে বোনকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন কালিম। সে সময়ই বোনকে সাবধান করেছিলেন।
দাদার বারণ কানে দেননি বোন। তাই বোনকে ‘উপযুক্ত শাস্তি’ দিতে ২২ বছরের কালিম নিজের ষোড়শী বোনের মাথা কেটে ফেলল ধারালো অস্ত্রে। গোন্ডার পুলিস আধিকারিক মুন্না উপাধ্যায় জানিয়েছেন, দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। কালিমকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে। খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। খুনে ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্রটি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এর আগেও এমন ঘটনা বহুবার ঘটে সে রাজ্যে। সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের রুধাউলিতে আখের ক্ষেত থেকে বস্ত্রহীন অবস্থায় উদ্ধার হয় অঙ্কিত নামে এক স্থানীয় দলিত তরুণের মৃতদেহ।শরীরে ছিল একাধিক আঘাতের চিহ্ন।মৃতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, ওই গ্রামেরই ইরশাদ নামক এক ব্যক্তির জমিতে ট্রাক্টর চালানোর কাজ করতেন মৃত তরুণ।মৃত্যুর দিনও তিনি ইরশাদের বাড়ি কাজে গিয়েছিলেন। এরপর,সারারাত বাড়ি ফেরেননি ও তাঁর ফোনটিও সুইচ অফ আসছিল।তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে ইরশাদের মেয়েও একই দিনে মারা গিয়েছে এবং সেই মৃতদেহ সমাধিস্থ করাও হয়ে গিয়েছে।এরপরই পুলিশের সন্দেহ আরও গভীর হয়।সম্ভবত, অনার-কিলিংয়ের শিকার তাঁরা দুজনে এমনটাই প্রাথমিক ধারণা পুলিসের।