বাংলাহান্ট ডেস্কঃ নির্বাচনের আগেই রুজি-রুটি বন্ধ হল প্রায় ২ হাজার শ্রমিকের। বন্ধ হল হুগলির জুটমিল (jutemill hoohgly)। রবিবার সকালেই সাসপেনশন অফ ওয়ার্কের (Suspension of work) নোটিশ পড়ল রিষড়ার ওয়েলিংটন জুটমিলের গেটে। কাজ বন্ধের পেছনে কারণ হিসাবে দেখানো হল আর্থিক পরিস্থিতির অবনতি।
সম্প্রতি করোনা আবহ এবং লকডাউন পরিস্থিতি পার করে বহু কলকারখানা খুব ধীর গতিতে চললেও, অনেক জায়গায় আবার বন্ধ করেও দেওয়া হয়েছে। লকডাউনের ফলে অর্ডার বন্ধ থাকায়, আর্থিক ক্ষতির দোহাই দিয়েছে এই পর্যন্ত অনেক কলকারখানাই বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এবার সেই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হল হুগলির জুটমিল।
রবিবার সকালে কাজে গিয়ে জুটমিলের গেটে এই নোটিশ দেখে কার্যত মাথায় হাত পড়েছে শ্রমিকদের। এর মধ্যে একাংশ শ্রমিকদের ধারণা, জুটমিলের যা পরিস্থিতি ছিল তাতে করে অনুমান করা হচ্ছে, সাসপেনশন অফ ওয়ার্কের নোটিশের মধ্য দিয়েই জুটমিল বন্ধ করে দিতে পারে কর্তৃপক্ষ। এর ফলে কর্মসংস্থান হারাবে প্রায় ২ হাজার শ্রমিক। সেইসঙ্গে তাদের পরিবারের সদস্যদের আর্থিক উৎস বন্ধ হয়ে যাবে।
কংগ্রেস পরিচালিত আইএনটিইউসি অভিযোগ করেছে, রাজ্য সরকারের উদাসীনতার কারণেই আজকের এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ওয়েলিংটন জুটমিল। শ্রমদপ্তরের সঙ্গে আলোচনাতেও সমস্যার কোন সমাধান সূত্র বের হয়নি। প্রতিবাদে জিটি রোডে অবরোধে বসেন শ্রমিকরা।
সম্প্রতি বাংলা সহ আরও ৪ জায়গায় বিধানসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ নির্ধারন হয়েছে। বাংলায় ৮ দফা ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্তে আপত্তি জানিয়েছে রাজ্য সরকার। কিন্তু নির্বাচনের আগেই এই জুটমিল বন্ধের ঘটনা ভোটবাক্সে বড় প্রভাব ফেলতে পারে বলেও অনুমান করছেন বিশেষজ্ঞরা।