বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সম্প্রতি কাঞ্চন মল্লিককে (Kanchan Mullick) প্রচার গাড়ি থেকে নামিয়ে দেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee)। তৃণমূল বিধায়কের প্রতি বিদায়ী সাংসদের এহেন আচরণ নিয়ে বিস্তর চর্চা হয়েছে। এবার এই নিয়ে হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত চুঁচুড়ায় একাধিক পোস্টার চোখে পড়ল। সেখানে কাঞ্চন-কল্যাণের পাশাপাশি ছবি রয়েছে হুগলির জোড়াফুল প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Rachana Banerjee)।
পোস্টারে লেখা, ‘আজকে কাঞ্চনের সাথে হয়েছে, আগামীতে আপনার সাথে হতে পারে (দিদি নম্বর ওয়ান)। এই বাংলায় শিল্পীদের কোনও দাম নেই’। পোস্টারের নীচে লেখা ‘জয় বাংলা’। চুঁচুড়ার নানান এলাকায় কে বা কারা এই পোস্টার দিয়েছে তা এখনও জানা যায়নি। তবে ইতিমধ্যেই এই নিয়ে শুরু হয়েছে চর্চা।
এই প্রসঙ্গে হুগলির (Hooghly) তৃণমূল (TMC) প্রার্থী রচনা বলেন, ‘আমি মনে করি সকল শিল্পীর সম্মান পাওয়া উচিত। তবে কাঞ্চনের ক্ষেত্রে কী পরিস্থিতি হয়েছিল সেটা আমি জানি না। সেই জন্য এই বিষয়ে কিছু বলতে পারব না। আমার সঙ্গেও হতে পারে এই মর্মে যদি পোস্টার পড়ে থাকে তাহলে আমি বলব আমার সঙ্গে এখনও এমন হয়নি। আমি কাঞ্চন কিংবা কল্যাণদা কাউকেই সমর্থন করছি না। কারণ কী ঘটনা ঘটেছিল, পুরো বিষয়টা কী সেটা আমি জানি না’।
আরও পড়ুনঃ ‘রামনবমীতে বোমাবাজি হয়েছে’, স্বীকার করে আদালত রিপোর্ট রাজ্যের, বিরাট নির্দেশ দিল হাইকোর্ট
এই বিষয়ে হুগলি সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সাউ বলেন, ‘কিছুদিন আগে বলাগড়ের বিধায়ককে মঞ্চ থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়। এবার শ্রীরামপুরে কাঞ্চন মল্লিককে নামিয়ে দেওয়া হল। আমরা বিজেপির লোকজন বলতাম তৃণমূলে শিল্পী সাহিত্যিকদের সম্মান নেই। এখন ওদের দলের লোকজন পোস্টার দিয়ে জানিয়ে দিচ্ছে। যা ঘটনা ঘটছে সেটায় পরিষ্কার তাঁদের সম্মান নেই’।
বৃহস্পতিবার সকালে শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রের অধীন কোন্নগর-নবগ্রাম অঞ্চলে প্রচারে গিয়েছিলেন কল্যাণ। সঙ্গে ছিলেন কাঞ্চনও। হুডখোলা গাড়িতে কয়েক মুহূর্ত একসঙ্গে দেখা যায় তাঁদের। কিন্তু আচমকাই কিছু কথোপকথনের পর তাঁকে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেন তৃণমূল প্রার্থী। এরপর দলীয় কর্মীর বাইকে চেপে সেখান থেকে বেরিয়ে আসেন কাঞ্চন। এই বিষয়ে পরবর্তীতে কল্যাণ বলেন, কাঞ্চনকে দেখলে গ্রামের মহিলারা ভীষণ রিয়্যাক্ট করছেন। সেই কারণে তিনি আগেই বলে দিয়েছিলেন, তৃণমূল বিধায়ক যেন গ্রামের প্রচারে না আসেন।
অন্যদিকে কাঞ্চন এক জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যমের কাছে বলেন, ‘মহিলারা আমায় ভালোভাবে না নিলে প্রচারের মাঝে কোথাও বিক্ষোভের মুখে তো পড়িনি। আমার কাছে তেমন কোনও খবর নেই। শুধু নির্বাচনী প্রচার নয়, অভিনেতা হিসেবেও তো সম্প্রতি আমি চৈত্র সংক্রান্তির দিন বর্ধমান জেলায় অনুষ্ঠান করতে যাই। সেখানে ১০,০০০ মানুষের জমায়েত হয়েছিল। অন্তত ৭৫% মহিলা ছিলেন। সেখানেও তো কোনও বিক্ষোভ হয়নি। আমি অভিনেতা হই বা যাই করি, সেটা মানুষের জন্য। মানুষ আমায় ভালোবাসে বলেই আমি আছি। এরপরে রাজনীতি। সেটাও মানুষের জন্যই’।