বাংলাহান্ট ডেস্ক: ঐন্দ্রিলা শর্মার (Aindrila Sharma) মৃত্যুর প্রায় দু সপ্তাহ পর ফাঁস হয়েছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। তাঁর মৃত্যুর জন্য অভিযোগের আঙুল উঠেছে এক দুজন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। হাওড়ার যে বেসরকারি হাসপাতালে অভিনেত্রী ভর্তি ছিলেন, সেখানকারই একজন মহিলা চিকিৎসকের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ এনেছেন তাঁর মা শিখা শর্মা।
ঐন্দ্রিলাকে সম্মান জানিয়ে তাঁর স্মরণে সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল জাতীয় বিমা কর্মীদের তরফে। সেখানে উপস্থিত হয়ে প্রয়াত অভিনেত্রীর মা বিষ্ফোরক অভিযোগ আনেন হাসপাতালের কয়েকজন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। তাঁদের মধ্যে একজন সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের ইউনিট ইনচার্জ একজন মহিলা চিকিৎসক।
প্রয়াত অভিনেত্রীর মা অভিযোগ করেন, ওই মহিলা চিকিৎসকের ইগোর লড়াইয়ের জন্য অকালে চলে যেতে হয়েছে ঐন্দ্রিলাকে। তিনি নাকি অন্য চিকিৎসকদের পরামর্শ শোনার প্রয়োজন মনে করতেন না। তাঁর বিরুদ্ধে ঐন্দ্রিলাকে ‘খুন’ করার অভিযোগ এনেছেন মা শিখা শর্মা।
তিনি বলেন, অনেকটা সময় নিয়ে এমআরআই করা হয়েছিল ঐন্দ্রিলার। রিপোর্ট ভাল এলেও অভিনেত্রীর ওই শারীরিক পরিস্থিতিতে সেটা একেবারেই ঠিক হয়নি। ঐন্দ্রিলার মা নিজেও একজন নার্সিং স্টাফ। বাবা, দিদি দুজনেই চিকিৎসক। শিখা শর্মা বলেন, ঐন্দ্রিলার ফুসফুস এবং কিডনি একদম ভাল ছিল। হৃদরোগে আক্রান্ত হলেও সুস্থ করা যেত। কিন্তু এক দুজন চিকিৎসকের ইগো ফিরতে দিল না ঐন্দ্রিলাকে।
বিষয়টা নিয়ে স্বাভাবিক ভাবেই তুমুল শোরগোল শুরু হয়েছে। মুখ খুলতে বাধ্য হয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এক সংবাদ মাধ্যমকে তাদের তরফে জানানো হয়েছে, প্রয়াত ঐন্দ্রিলার পরিবারের তরফে এখনো পর্যন্ত কোনো অভিযোগ তোলা হয়নি। বিষয়টা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, অভিনেত্রীর পরিবার আগেই তাদের সবটা জানাতে পারত।
সঙ্গে আরো জানানো হয়েছে, বিষয়টা নিয়ে ঐন্দ্রিলার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে হাসপাতালের তরফে। সেই সঙ্গে বাইরে থেকে চিকিৎসার উপদেশ নেওয়ার কথাটাও ‘মিস কমিউনিকেশন’ বলে এড়িয়ে গিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। শিখা শর্মা বলেছিলেন, ঐন্দ্রিলার ফুসফুস এবং কিডনি একদম ভাল ছিল। হৃদরোগে আক্রান্ত হলেও সুস্থ করা যেত। কিন্তু এক দুজন চিকিৎসকের ইগো ফিরতে দিল না ঐন্দ্রিলাকে।