ঠান্ডা জল আর গরম জল নিয়ে স্নান করার ক্ষেত্রে অনেকের অনেক মত ত্থাকে। বাড়িতে অনেকেই এই নিয়ে নানা মতামত দিয়ে থাকেন । হালকা গরম জল শরীরকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে সাহায্য করে। তবে মাথা ধুতে অবশ্যই ঠাণ্ডা জল ব্যবহার করা উচিত।না হলে চুলের ক্ষতি হয়। তবে গরম জলে কিংবা ঠান্ডা জলে স্নান করুন না কেন দুটোরই উপকারিতা রয়েছে ।
কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে এমন দেখা গেছে শীতে অনেকেই রোজ স্নান করতে চায় না। সপ্তাহে একদিন স্নান করেন। তখন আবার শরীর এতো গরম হয় যে এরপর তাতে শরীর গরম হয়ে নাক মুখ থেকে রক্ত বেরোতে শুরু করে। আবার শীতের দিনে অনেকেই গরম জলে স্নান করা বেশি পছন্দ করেন।প্রচন্ড ঠান্ডায় শীতে অনেকেই আরাম নেবার জন্য হট হাওয়ার নেন। কেউ আবার নিজের সুস্থতা বজায় রাখার জন্য সারা বছ্র অনেকেই ঠান্ডা জলে স্নান করেন।
পাশাপাশি অনেকে আবার বয়সজনিত কারণে, বা অভ্যাসবশতই গরম জলে স্নান করে থাকেন। অতিরিক্ত গরম জল ব্যবহার করলে মুখে ব্রণ হয়।আবার অ্যাসিডিটি-র সমস্যাতেও চিকিৎসকেরা পুরোপুরি গরম জলে স্নান করতে বারণ করে থাকেন। তবে এই ক্ষেত্রে বেশি গরম জলে স্নান করলে পেট গরম হয়। আর খাবার হজম হতে চায় না,। এ ছাড়া মানসিক বিষণ্ণতাতেও গরম জলে স্নান করার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।আবার অতিরিক্ত ঠান্ডা জলে স্নান, আপনার শরীরের তাপমাত্রা কমিয়ে দেয়। এর ফলে দেহের সূক্ষ্ম টিস্যুগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এর পাশাপাশি আবার নার্ভের সমস্যাও দেখা দিতে পারে। যাদের বাতের ব্যথার প্রবণতা থাকে, তাঁদের ক্ষেত্রে ঠাণ্ডা জলে স্নান করার ক্ষেত্রে অনেক বিধি নিষেধ থাকে। কারন ঠান্ডা জল দেহের ব্যাথা বেদনা বাড়িয়ে দেয়। আর অনেকের টনসিল, সর্দি, কাশি প্রভৃতি বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা থাকে তাদের সারা বছরই গরম ঠান্ডা জল মিশিয়ে স্নান করাই ভালো। তাই শরীরের হাল বুঝে গরম ঠাণ্ডা জল দিয়ে স্নান করা উচিৎ ।