বাংলা হান্ট ডেস্ক: আজ-কালকের দিনে ক্রেডিট কার্ড (Credit Card) নেই, এমন মানুষের সংখ্যা হয়তো খুবই কম। হাতে টাকা না থাকলেও আর্থিক লেনদেন করতে এই ক্রেডিট অনেকেই ব্যবহার করে থাকেন। নিত্য-চাহিদা পূরণ হয় এই কার্ডের মাধ্যমে।
ক্রেডিট লিমিট অনুযায়ী, মাসের বাজার, শপিং মল (Shopping Mall), ই-সংস্থা ((Online Shopping), সিনেমা হল এমনকী হাসপাতালেও এই কার্ডের মাধ্যমে পেমেন্ট করা যায়। সেই টাকা ওই ব্যাঙ্কে (Bank) বিনা সুদে সর্বোচ্চ ৫০ দিন পর জমা করা যায়। যার ফলে দিন দিন এই ক্রেডিট কার্ডের চাহিদা এবং জনপ্রিয়তা দুই বাড়ছে। তবে এই ক্রেডিট কার্ডেই প্রতারণা (Fraud) চক্র ও ঘুরে বেড়াচ্ছে।
অনেক সময় প্রতারকরা কল বা মেসেজে জাল পুরস্কারের প্রলোভন দেখায় এবং ক্রেডিট কার্ডের বিস্তারিত বিবরণ জানতে চায়। এই পরিস্থিতিতে কখনই এই ধরনের মেসেজে বা মেইলে কান দেবেন না। কোনওভাবেই ক্রেডিট কার্ডের বিস্তারিত তথ্য শেয়ার করবেন না। সিভিভি (CVV), কার্ডের নম্বর, মেয়াদের মাস এবং বছর ভুলেও বলবেন না।
ক্রেডিট কার্ড হারিয়ে গেলে বা চুরি হয়ে গেলে কী করবেন? অনেক সময় মানুষের ক্রেডিট কার্ড চুরি বা হারিয়ে যেতে পারে, সেই ক্ষেত্রে ওই ক্রেডিট কার্ড প্রদানকারী ব্যাঙ্কের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। তৎক্ষণাৎ কল করে ওই কার্ডটি ব্লক করার চেষ্টা করুন। অন্যথায় ওই কার্ডের অপব্যবহার হতে পারে।
একথা বলা ভাল, বর্তমানে ওয়ান টাচ পেমেন্ট বা ওয়াই ফাই পেমেন্ট (Contactless Credit Card Payment) মোড চালু করা হয়েছে। এর ফলে কোনও বিপণনী বা হোটেলে কার্ড স্ক্যানিং মেশিন বা পিওএস-এ টাকা দিতে গেলে একটা নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্ত পাসওয়ার্ড লাগে না। শুধুমাত্র কার্ডটি ছোঁয়ালেই পেমেন্ট হয়ে যায়। এক্ষেত্রে এই সিস্টেমটি বন্ধ করে রাখাই শ্রেয়। ওয়াই ফাই মোড(WiFi)-এ পেমেন্ট চালু থাকলে ঝুঁকি বাড়ে বইকি কমে না। কার্ড চুরি হয়ে গেলে তারপরও কিছু পরিমাণ টাকা পাসওয়ার্ড (Password) ছাড়াই খরচ করা যায়।