বাংলাহান্ট ডেস্ক: দীর্ঘ ২৮ দিন পর অবশেষে জেল থেকে মুক্তি পেয়েছেন রিয়া চক্রবর্তী (rhea chakraborty)। গত বুধবার বম্বে হাই কোর্ট তাঁর জামিনের আবেদন মঞ্জুর করলে ১ লক্ষ টাকার বন্ডে শর্তসাপেক্ষ জামিন পান রিয়া। এখনো গৃহবন্দি অবস্থায় থাকতে হলেও প্রায় এক মাস পর নিজের বাড়িতে ফিরতে পারলেন তিনি।
এই দীর্ঘ সময়টা সংশোধনাগারে যে একেবারেই সহজ ছিল না রিয়ার জন্য তা বলাই বাহুল্য। বলিউডে তেমন হিট ছবি না করলেও অভিনেত্রী হিসাবেই পরিচিত ছিলেন তিনি। কাটাতেন বিলাসবহুল জীবন। সেই বিলাস ব্যসনের এক কণাও এই কদিনে পাননি রিয়া।
জানা গিয়েছে, অন্যান্য বন্দিদের মতো মাটিতেই কম্বল পেতে শুতেন রিয়া। খেতেন সাধারন ভাত, ডাল বা রুটি। সবার সঙ্গে নাকি মিলে মিশেই থাকতেন তিনি। বাড়ির আরামের সঙ্গে এতদিন দূরদূরান্তেও কোনো সম্পর্ক ছিল না তাঁর। কিন্তু তার জন্য তেমন অভিযোগ করেননি রিয়া।
অভিনেত্রীর আইনজীবী সতীশ মানশিন্ডে নিজে দেখা করতে যেতেন তাঁর সঙ্গে। তাঁর কথায়, “ও জেলের মধ্যে কি অবস্থায় রয়েছে সেটা দেখতে চাইতাম। এটা দেখে খুব ভাল লাগত যে এত কিছু সত্ত্বেও নিজের মনোবল হারাননি তিনি। সবসময় পজিটিভ থাকতেন। জেলের মধ্যেও যোগাভ্যাস করতেন। নিজের খেয়াল রাখতেন।”
সতীশ মানশিন্ডে আরো জানান, জেলের মধ্যেই বাকিদেরও যোগার প্রশিক্ষণ দিতেন রিয়া। তাঁর বাবা সেনাবাহিনীতে চিকিৎসক ছিলেন। ছোট থেকেই মিলিটারি নিয়ম কানুনের মধ্যেই বড় হয়েছেন তিনি। তাই প্রতিকূল পরিস্থিতিতে রিয়া নিজেকে শান্ত রাখতে জানেন। এমনটাই বক্তব্য তাঁর আইনজীবীর। সেই সঙ্গে তিনি আরো বলেন, যারা যারা রিয়ায বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন সকলের মোকাবিলা করতে প্রস্তুত তিনি।
প্রসঙ্গত, রিয়া চক্রবর্তীর জামিনের পরেই টাকা তছরুপের মামলায়ও চূড়ান্ত রিপোর্ট দেয় CBI। তারা সাফ জানায়, সুশান্তের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে কোনো টাকার গরমিল পাওয়া যায়নি। রিয়া প্রয়াত অভিনেতার অ্যাকাউন্ট থেকে কোনো টাকা সরাননি। এই অভিযোগ মিথ্যে।