বাংলাহান্ট ডেস্ক : গোটা একরাতের বৃষ্টি। তাতেই জলের তলায় চলে গিয়েছে শহর কলকাতা। উত্তর থেকে দক্ষিণ সর্বত্র একই ভোগান্তির শিকার মানুষ। সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনে কর্ম স্থানে যেতে গিয়ে নাকানিচোবানি খেতে হয়েছে সাধারণ মানুষকে। আর টেলিপাড়ার (Serial) কী খবর? সিরিয়ালের শুটিং কি এদিন বন্ধ রইল নাকি দুর্যোগ সঙ্গে নিয়েই চলল শুটিং?
জলমগ্ন শহরে কীভাবে হল সিরিয়ালের (Serial) শুটিং?
পুজোর এক সপ্তাহ বাকি থাকতে আচমকা দুর্যোগ। এদিকে সিরিয়ালের (Serial) এপিসোড ব্যাঙ্কিংয়ের চাপ মাথার উপরে। তাই ‘রেনি ডে’র সৌভাগ্য আর হল না অভিনেতা অভিনেত্রী থেকে অন্য কলাকুশলীদের। জল পেরিয়েই একে একে শুটিং সেটে (Serial) এসে হাজির জগদ্ধাত্রী, জোয়ার ভাঁটা, পরশুরামের মতো সিরিয়ালের অভিনেতা অভিনেত্রী, পরিচালক ও টেকনিশিয়ানরা।
কষ্ট করেই শুটিংয়ে পৌঁছালেন কলাকুশলীরা: পর্দার পরশুরাম ওরফে ইন্দ্রজিৎ বোস এদিন বাইকে চেপেই পৌঁছেছেন সেটে। রাস্তার পরিস্থিতি দেখে আর গাড়ি বের করার সাহস হয়নি তাঁর। অন্যদিকে সদ্য শুরু হওয়া ‘জোয়ার ভাঁটা’র (Serial) নিশা ওরফে শ্রুতি দাস বলেন, এক কোমর জলে গাড়ি প্রায় ডুবতে বসেছিল। শুটিংয়ে যেতে গিয়ে রীতিমতো যুদ্ধ করতে হয়েছে তাঁকে।
আরও পড়ুন : পাতালপথে চলুক পুজো পরিক্রমা, পঞ্চমী থেকে দশমী কখন থেকে কখন মিলবে মেট্রো পরিষেবা? এল আপডেট
কী জানান আরাত্রিকা: ওই একই ধারাবাহিকে (Serial) উজির চরিত্রে অভিনয় করছেন আরাত্রিকা মাইতি। তিনি জানান, সকাল আটটায় কল টাইম। এদিকে সকালে ঘুম ভেঙে উঠে জলমগ্ন শহর দেখে মাথায় হাত তাঁর। ঝাড়গ্রামের মেয়ে আরাত্রিকা বলেন, পাথর বিছানো রাস্তায় কাদা হতে দেখেছেন তিনি। কিন্তু গোটা রাস্তা কখনও জলের তলায় চলে যেতে দেখেননি। জল ঠেলেই সেটে আসতে বাধ্য হয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন : ভাগ দিতে হবে পুরস্কার মূল্যের, প্রথম বার জাতীয় পুরস্কার জিতে কী কী পেলেন শাহরুখ?
এমন বৃষ্টিমুখর দিনে ‘রেনি ডে’ নিয়ে খিচুড়ি, ইলিশে কবজি ডুবাতেই মন চায়। কিন্তু সিরিয়ালের (Serial) কলাকুশলীদের ক্ষেত্রে তেমনটা হওয়ার জো নেই। ‘অনুরাগের ছোঁয়া’য় কাজ শুরু করা তিয়াশা লেপচা বলেন, তাঁদের কোনও রেনি ডে নেই। বৃষ্টি মাথায় নিয়েই এসেছেন শুটিংয়ে। অন্যদিকে ইন্দ্রজিৎ বলেন, সারাবছরই ডায়েট মেনে চলেন নিজেকে মেনটেন করতে। তাই খিচুড়ি, ইলিশ থেকে দূরেই থাকেন তিনি।