বাংলাহান্ট ডেস্কঃ আজকে সারা দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর (Subhas Chandra Bose) ১২৫ তম জন্মবার্ষিকী। আজ নেতাজির জন্মবার্ষিকী উৎযাপনে কলকাতায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। তবে মায়ের সেই ছোট্ট সুবি থেকে কিভাবে তিনি হয়ে উঠলেন সকলের নেতাজি?
দেশের স্বাধীনতা নিয়ে অনেক ছোট বয়স থেকেই খুব গভীরভাবে ভেবেছিলেন নেতাজি। তাঁর সেই তরুণ চোখে দেশ স্বাধীনের নানা স্বপ্ন দেখেছিলেন তিনি। নেতাজি ভেবেছিলেন, এমন এক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে, যার সৈন্যদল দেশের স্বাধীনতা আনতে ব্রতী হবে। সেই কারণে তিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানের সাহায্যে সিঙ্গাপুরে আজাদ হিন্দ বাহিনী গড়ে তুলেছিলেন। সিঙ্গাপুর প্রথমে জাপান সরকারের অধীনে থাকলেও, পরে তা নেতাজির আজাদ হিন্দ সরকারের অধীনস্ত হয়।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ই এই তরুণ নেতা আন্দাজ করতে পেরেছিলেন, দেশে থেকে কখনই স্বাধীন ভারতের সূর্যোদয় ঘটানো সম্ভব নয়। দেশকে স্বাধীন করতে তাই ১৯৪১ সালে দেশ ছেড়ে ব্রিটিশ বিরোধী শক্তিধর দেশের সঙ্গে গিয়ে হাত মেলালেন। তখন তিনি এটা পরিস্কারভাবে বুঝে গিয়েছিলেন- দেশকে স্বাধীন করতে যেমন অন্যদেশের সাহায্য প্রয়োজন, তেমনি নিজের সৈন্যবলও প্রয়োজন।
দেশকে স্বাধীন করার কর্মকান্ডকে বাস্তবে রূপ দিতে জার্মানি গিয়েই নিলেন প্রথম পদক্ষেপ। বার্লিনের পূর্ব পরিচিত দুই যুবসমাজ এবং ভারতীয় ছাত্রদের নিয়ে একটি ভিলিণ্টিয়ারি গ্রুপ তৈরি করলেন তিনি। দেশকে স্বাধীন করতে প্রচুর সৈন্যবল প্রয়োজন। সেদিকে টার্গেট করে জার্মানির হাতে বন্দী ভারতীয়দের বোঝাতে শুরু করলেন।
এই পথেও তাঁকে অনেক বেগ পেতে হয়েছিল। তারা প্রথমে নেতাজিকে তাদের লিডার হিসাবে মানতে নারাজ ছিল। কিন্তু হার মানেননি তিনি। দেশের প্রতি নেতাজির ভালোবাসা এবং দেশকে স্বাধীন করার প্রচেষ্টার কথা শুনে তারা রাজী হয়ে গেলেন, নেতাজির পাশে থাকতে।
দেশকে স্বাধীন করতে তৈরি হল ইণ্ডিয়ান ন্যাশানাল আর্মির। এই দল গঠনের প্রথম ধাপ বার্লিনে তৈরি হয়েছিল ফ্রি ইণ্ডিয়ান সেন্টার, তারপর গঠিত হল ইন্ডিয়ান লিজন। এই সেনাদের কাছে খুব অল্প সময়ের মধ্যে নেতাজি খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠলেন। তাঁর কথা, তাঁর দেশপ্রেম, সেনাদের উৎসাহিত- অনুপ্রাণিত করার ধরণ- সবকিছু মিলিয়ে সুভাষ চন্দ্র বসু হয়ে উঠলেন তাদের কাছে ‘নেতাজি’ (Netaji)।