বাংলাহান্ট ডেস্ক : ফলের রাজা আম (Mango)। আম কাঁচা হোক কিংবা পাকা, দুই অবস্থাতেই বাজারে চাহিদা থাকে তুঙ্গে। এখন কাঁচা আমের পাশাপাশি বাজারে পাকা আমও পাওয়া যাচ্ছে। দামও বেশ চওড়া। আর এই সুযোগেই কিছু অসাধু ব্যবসায়ী কাঁচা আমে ফরমালিন দিয়ে পাকিয়ে তা বিক্রি করছেন। এককথায় বলা যায়, ফরমালিন যুক্ত আমে ছেয়ে গিয়েছে বাজার।
ব্যবসায়ীরা এই কৃত্রিম উপায় পাকানো আম নিয়ে বসছেন পসরা সাজিয়ে। অসাধু ব্যবসায়ীরা বহু বছর ধরেই এই কার্বাইড গ্যাসকে হাতিয়ার করে ব্যবসা চালাচ্ছেন। বর্তমানে কার্বাইড গ্যাস দিয়ে আম পাকানোর প্রবণতা আরো বেড়ে গেছে। সময়ের আগে এই কার্বাইড গ্যাসের মাধ্যমে পাকানো যায় আম। সেই আম বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে চড়া দামে।
এদিকে, কৃত্রিম উপায়ে পাকানো আম খেলে শরীরের উপর কুপ্রভাব পড়ে। কার্বাইড দিয়ে পাকানো আম খেলে স্নায়ু সমস্যা দেখা দিতে পারে। সংক্রমণ দেখা দিতে পারে পাকস্থলীতে। এমন কি কার্বাইড দিয়ে পাকানো আম খেলে হতে পারে ক্যান্সার। তবে, বহুক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে, কৃত্রিম ভাবে পেকে যাওয়া আম খেলে শরীরে দীর্ঘমেয়াদী সমস্যা তৈরী হতে পারে।
এখন, প্রশ্ন হল কৃত্রিম পদ্ধতিতে কীভাবে আম পাকানো হয় সেটা কী আপনি জানেন? কীভাবে চিনবেন গ্যাস পাকা আম? গাছ পাকা আমই বা কীভাবে চিনবেন? কার্বাইড কী কাজে আসে আম পাকানোর ক্ষেত্রে? আজকের এই প্রতিবেদনে আম পাকানোর ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক ও কৃত্রিম, দুটি উপায় নিয়েই আলোচনা করা হল। জেনে নিন সঠিক আম বা গাছ পাকা আম চেনার উপায়।
গাছ পাকা আম কেনার ক্ষেত্রে আপনাকে নজর রাখতে হবে বেশ কয়েকটি বিষয়। যদি পাকা আমের চারদিকে মাছি ঘুরতে দেখেন তাহলে বুঝবেন যে সেই আমটি খাঁটি। কার্বাইডযুক্ত আমে থাকেনা কোনও দাগ। গ্যাস পাকানো আম একেবারে পরিষ্কার হয়। সেগুলি ঝকঝকে ও সুন্দর হলেও গুণগত মানে খুবই খারাপ। শুধু তাই নয়, কেনার সময় আমের গায়ে আঙুলের মাথা দিয়ে টিপে দেখুন।
গাছ পাকা আমের ত্বকে রঙের ভিন্নতা দেখা যায়। কিন্তু গ্যাস পাকা আমে রঙের ভিন্নতা দেখা যায় না। সেই আম পুরোটাই উজ্জ্বল হলুদ রঙের হয় নয়ত পুরোটাই উজ্জ্বল সবুজ রংয়ের হয়। এছাড়াও গাছ পাকা আমের বোঁটায় থাকে মিষ্টি গন্ধ। তাই কেনার আগে একবার অবশ্যই নাক দিয়ে শুঁকে নিন। খুব কড়া, টক বা বাজে গন্ধ গন্ধ বের হলে সেই আম কিনবেন না।