বাংলাহান্ট ডেস্ক: দেখতে দেখতে কেটে গেল এক মাস। ঐন্দ্রিলা শর্মা (Aindrila Sharma) না থাকার এক মাস। গত ১ লা নভেম্বর ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন অভিনেত্রী। ২০ নভেম্বর শেষ হয় দীর্ঘ ২০ দিনের লড়াই। দুবার ক্যানসারকে হারালেও শেষমেষ মারণ রোগই প্রাণ কেড়ে নেয় ঐন্দ্রিলার। প্রাণবন্ত মেয়েটাকে হারিয়ে শোকের অন্ধকার নেমে এসেছিল তাঁর ঘনিষ্ঠ জনদের জীবনে।
মানুষের শোকপ্রকাশের ধরণ ভিন্ন ভিন্ন। ঐন্দ্রিলার মা, দিদি বারে বারে ফিরে গিয়েছেন পুরনো দিনে। ঐন্দ্রিলার ছোট্টবেলা থেকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সময়কার ছবি, ভিডিও শেয়ার করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। হাহাকার করেছেন, কেঁদেছেন। অন্যদিকে সব্যসাচী চৌধুরী (Sabyasachi Chowdhury) ছিলেন সম্পূর্ণ নীরব।
মাঝে একবার তাঁর স্বাথ্য নিয়ে ভুয়ো খবরের বিরুদ্ধে শ্লেষ মেশানো কটাক্ষ শানিয়েছিলেন। কিন্তু ঐন্দ্রিলার ব্যাপারে কোনো কথা শোনা যায়নি তাঁর মুখে। অভিনেত্রীর মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গেই সোশ্যাল মিডিয়ার পাট চুকিয়ে দিয়েছিলেন সব্যসাচী। ঐন্দ্রিলার জন্য লেখা শুরু করেছিলেন তিনি। অভিনেত্রী যাওয়ার সঙ্গে পঙ্গে তাঁর লেখাও সঙ্গে নিয়ে গিয়েছেন।
সম্প্রতি এক সংবাদ মাধ্যমের কাছে মুখ খোলেন সব্যসাচী। ঐন্দ্রিলাকে ছাড়া কেটে গেল এক মাস। যাঁকে আগলে আগলে রেখেছিলেন এতদিন। ঐন্দ্রিলা দিল্লিতে চিকিৎসা করাতে গেলে পৌঁছে গিয়েছিলেন সব্যসাচীও। বাড়ি ফেরার পর অভিনেত্রীর ঘরের বাইরে ঠায় অপেক্ষায় ছিলেন তিনি, সঙ্গে ঐন্দ্রিলার প্রিয় পোষ্য।
সেসবই এখন অতীত। ঐন্দ্রিলা হাসপাতালে ভর্তি হলেও সব্যসাচী লিখেছিলেন, তাঁকে সঙ্গে নিয়েই ফিরবেন। কথা রাখার সুযোগ পাননি অভিনেতা। সংবাদ মাধ্যমকে জানান, তিনি ঠিক আছেন। যদিও এই এক লাইনের উত্তরে যে কোনো দৃঢ়তা ছিল না, শুধু থাকার জন্যই থাকা তা বোঝা গিয়েছে। তবে এর থেকে বেশি আর কোনো কথা বলতে রাজি হননি সব্যসাচী। কোনোদিন হবেন কিনা তাও বলা যাচ্ছে না।