বাংলাহান্ট ডেস্ক : পরিস্থিতি ক্রমেই ঘোরালো হয়ে উঠছে নেপালে (Nepal)। বাংলাদেশের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ভারতের আরও এক প্রতিবেশী দেশে। ছাত্র যুবর বিক্ষোভের মুখে পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে নেপাল (Nepal) সরকার। পদত্যাগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। এই উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে সেদেশে থাকা ভারতীয়দের সাবধানে থাকার পরামর্শ দিয়েছে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক। এদিকে সেদেশে পড়তে গিয়ে আটকে পড়েছেন বাঙালি ছাত্রী বিনীতা মান্না। কী পরিস্থিতি সেখানে, বাংলাহান্টকে এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে জানালেন তিনি।
নেপালে (Nepal) পড়তে গিয়ে আটক বাঙালি ডাক্তারি পড়ুয়া
ডাক্তারি পড়তে নেপালে (Nepal) গিয়েছেন বিনীতা। বিরাটনগরে বিরাট মেডিকেল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী তিনি। তাঁর ফাইনাল পরীক্ষা চলছিল। হঠাৎ করেই এই পরিস্থিতি। বাংলাহান্টের প্রতিনিধি শোভন চক্রবর্তীর সঙ্গে এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে বিনীতা জানান, গতকাল কিছু নেপালি (Nepal) বন্ধুদের কাছ থেকে তাঁরা জানতে পারেন যে প্রতিবাদ চলছে। অনেককে গুলিও করা হয়েছে। রাজনৈতিক কারণে প্রতিবাদ, কেউ প্রোটেস্ট করলেই সটান শুটআউট করা হচ্ছে বলে জানতে পারেন তিনি।
কী পরিস্থিতি বর্তমানে: বিনীতা জানান, মাঝে তিন চারদিনের জন্য সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল নেপালে (Nepal)। যেহেতু তাঁদের পরীক্ষা চলছিল, তাই প্রয়োজনে ভিপিএন ব্যবহার করতে বাধ্য হয়েছিলেন তাঁরা। বর্তমানে কী পরিস্থিতি? বিনীতা বলেন, “এখানে সিডিও অফিসে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাইরে একেবারেই সুরক্ষিত নয়। মারপিট, ঢিল ছোঁড়াছুঁড়ি হচ্ছে, কার্ফু জারি করা হয়েছে।”
গুলি করা হচ্ছে প্রতিবাদীদের: বর্তমান পরিস্থিতিতে স্থগিত রাখা হয়েছে তাঁদের পরীক্ষা। বিনীতা জানান, তাঁর কিছু বন্ধুর থেকে জানতে পেরেছেন, ধূলিখেলে (Nepal) প্রতিবাদ চলছে, অনেককে গুলি করা হয়েছে। আহত অনেকে ভর্তি হাসপাতালে, এমনকি তাঁদের বিরাট মেডিকেল কলেজেও অনেকে ভর্তি রয়েছেন বলে জানান বিনীতা। আর মাত্র তিনটিই পরীক্ষা বাকি ছিল তাঁদের। বাড়ি ফেরার জন্য টিকিটও কেটে রাখা ছিল বলে জানান বিনীতা। তার মধ্যেই এই বিপত্তি।
আরও পড়ুন : পুজোয় দার্জিলিং যাওয়ার প্ল্যান? ভ্রমণ স্মরণীয় করে রাখতে অবিশ্বাস্য উদ্যোগ ভারতীয় রেলের
বিনীতা জানালেন, বাড়ির লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে। কিন্তু যে কোনও সময় যা কিছু ঘটে যেতে পারে, তাই ভয় তাড়া করে বেড়াচ্ছে। ভারত সরকারের কাছে বিনীতার আবেদন, এই পরিস্থিতিতে তাঁরা যাতে নিজেদের বাড়িতে ফিরতে পারেন তার ব্যবস্থা করা হোক। পরীক্ষা তো পরেও দেওয়া যাবে, আগে তো মানুষের প্রাণ।