বাংলা হান্ট ডেস্ক: খুব শীঘ্রই ভারতে চালু হতে চলেছে বুলেট ট্রেন (Bullet Train)। ইতিমধ্যেই মুম্বাই-আহমেদাবাদ বুলেট ট্রেন প্রকল্পে সব ধরনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এমতাবস্থায়, মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ (Devendra Fadanavis) জানিয়েছেন যে, রাজ্য সরকার মুম্বই-আহমেদাবাদ বুলেট ট্রেন প্রকল্প সংক্রান্ত সমস্ত অনুমোদন দিয়েছে।
মূলত, প্রকল্পের কাজ ত্বরান্বিত করতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। এর পাশাপাশি, তিনি মহারাষ্ট্রের পূর্বের মহা বিকাশ আঘাদি (Maha Vikas Aghadai, MVA) সরকারকেও নিশানা করেছেন। শুধু তাই নয়, তিনি দাবি করেছেন যে, আগের সরকার এই প্রকল্পটি ত্বরান্বিত করার জন্য কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
খরচের পরিমান: এই প্রসঙ্গে মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরে ফড়নবিশ জানিয়েছেন যে, মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে প্রকল্পের সমস্ত ধরণের অনুমোদন দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, মুলতুবি বিষয়গুলি বন ছাড়পত্র এবং জমি অধিগ্রহণের সাথে সম্পর্কিত ছিল। মুম্বাই-আহমেদাবাদ বুলেট ট্রেন প্রকল্পের আনুমানিক ব্যয় হবে ১.১০ লক্ষ কোটি টাকা। যার মধ্যে ৮৮,০০০ কোটি টাকা জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (JICA) প্রদান করছে।
MVA-কে নিশানা: ফড়নবিশ জানিয়েছেন যে, মহারাষ্ট্রের প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় ৭০ শতাংশ জমি থানে এবং পালঘর জেলায় অধিগ্রহণ করা হয়েছে। শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বাধীন পূর্ববর্তী মহা বিকাশ আঘাদি (MVA) সরকার এই প্রকল্পটি ত্বরান্বিত করার জন্য কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। বরং, ঠাকরে পুণে এবং নাগপুর শহরের মধ্যে একটি উচ্চ-গতির ট্রেন করিডোর তৈরি করতে রেল মন্ত্রককে বলেছিলেন।
মিলবে এই সুবিধা: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং তৎকালীন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে আহমেদাবাদে ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে বুলেট ট্রেন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন। জানা গিয়েছে, এই ট্রেন মাত্র দু’ঘণ্টায় ৫০০ কিলোমিটারেরও বেশি দূরত্ব অতিক্রম করতে পারে। স্বাভাবিকভাবেই, দেশের অন্যান্য ট্রেনের গতির তুলনায় বুলেট ট্রেনের গতি হবে সবচেয়ে বেশি।