বাংলাহান্ট ডেস্ক: লাখ লাখ টাকা খরচ করে মুম্বইয়ের শিল্পীদের কলকাতায় অনুষ্ঠানের আয়োজন। আর সেই টাকা জোগাড় করতে গিয়ে গুন্ডা, প্রোমোটারদের কাছে সারেন্ডার করছে তরুণ প্রজন্ম। কিছুদিন আগে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের (Sougata Roy) এই মন্তব্য বিতর্ক উসকে দিয়েছিল রাজনৈতিক মহলে। এবার টিএমসিপির তরফে কেকে-র (KK) অনুষ্ঠান আয়োজনের খরচের হিসাব দেওয়া হল সাংসদকে।
কলকাতায় অনুষ্ঠান করতে এসে মৃত্যু হয়েছে কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ ওরফে কেকের। তাঁর আচমকা মৃত্যুর পর অনুষ্ঠানের আয়োজক, এমনকি রাজ্য সরকারের দিকেও আঙুল উঠেছিল। সেই বিতর্কে ধুনো দেয় সাংসদ সৌগত রায়ের মন্তব্য।
নজরুল মঞ্চে কেকের অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে নাকি ৩০-৫০ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। এই বিপুল পরিমাণ টাকা পেল কোথা থেকে টিএমসিপি? প্রশ্ন তুলেছিলেন সৌগত রায়। গত শনিবার টিএমসিপির আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কেকের প্রসঙ্গ টেনে আনেন সাংসদ। মন্তব্য করেন, এত টাকা তো হাওয়া থেকে আসে না।
এবার সাংসদকে অনুষ্ঠানে খরচের হিসাব পাঠানো হল তৃণমূল ছাত্র পরিষদের তরফে। ছাত্র সংগঠনের সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য জানান, বিদ্যাসাগর কলেজ এবং গুরুদাস মহাবিদ্যালয়ের দুটো অনুষ্ঠান মিলিয়ে ২০ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এই দুটি কলেজের অনুষ্ঠানই হয়েছিল নজরুল মঞ্চে। গান গেয়েছিলেন কেকে।
সাংসদ বলেছিলেন, এত টাকা যোগাতে এলাকার মস্তান নয়তো প্রোমোটারের কাছে সারেন্ডার করতে হয়। এখন থেকেই সারেন্ডার করে দিলে ভবিষ্যতে কী করবে? এত টাকা খরচ করে মুম্বই থেকে শিল্পী আনানোর প্রয়োজনীয়তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন সৌগত রায়। এত খরচের কারণে বরানগর উৎসব বাতিল করে দেওয়া হয়েছে বলেও জানিলেছিলেন তিনি।
টিএমসিপি সভাপতি সংবাদ মাধ্যমকে জানান, তিনি ব্যক্তিগত ভাবে সাংসদকে হিসাব পাঠিয়েছেন। প্রবীণ নেতার সম্ভবত বুঝতে ভুল হয়েছিল। তবে তিনি সবটা বুঝিয়ে বলার পর তিনি সন্তুষ্ট হয়েছেন। সভাপতি আরো জানান, ছাত্র সাসংসদের পক্ষ থেকে এই টাকা খরচ করা হয়নি। আসলে গত তিন বছর ধরে বন্ধ ছিল কলেজের ফেস্ট। ছাত্রছাত্রীদের থেকে নেওয়া টাকা জমা ছিল কলেজের অ্যাকাউন্টে। সেখান থেকেই উঠে এসেছে খরচ।