বাংলাহান্ট ডেস্ক : ইলিশ (Hilsa Fish) এবং বাঙালির যুগলবন্দি দীর্ঘদিনের। বর্ষাকাল এলে পাতে ইলিশ না পড়লেই মুখ গোমড়া হয় অনেকেরই। পছন্দের মাছের পিসটি পেতে হাজার হাজার টাকা খরচ করতেও রাজি হয়ে যান অনেকে। অবশ্য ইলিশ (Hilsa Fish) এমনই একটা মাছ যা শুধু রূপেই নয়, গুণেও অনবদ্য। পুষ্টিগুণ ঠাসা রয়েছে এই মাছে। সাধে কি আর ইলিশকে ‘মাছের রানী’ বলা হয়।
ঝালে-ঝোলে-অম্বলে কি হারিয়ে যাচ্ছে ইলিশের (Hilsa Fish) পুষ্টিগুণ?
স্বাদে গন্ধে অতুলনীয় ইলিশ (Hilsa Fish) স্বাস্থ্যের পক্ষেও খুব ভালো। প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি রয়েছে এই মাছে। কিন্তু সেইসব পুষ্টিগুণ কি আদৌ আমাদের শরীরে পৌঁছায়? পুষ্টিবিদরা বলছেন, ঝালে ঝোলে রসিয়ে ইলিশ (Hilsa Fish) খেলে মনের শান্ত পাওয়া যায় ঠিকই, তবে তা শরীরের জন্য মোটেও ভালো নয়। তবে কীভাবে খেলে ইলিশের স্বাদ পুষ্টি দুটোই বজায় থাকবে?
কী কী গুণ রয়েছে ইলিশে: উল্লেখ্য, ১০০ গ্রাম ইলিশে (Hilsa Fish) থাকে ২১-২৩ গ্রাম প্রোটিন, ৩১০-৩৩০ কিলোক্যালরি, ২ গ্রাম ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ২৫০-৩০০ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম এবং ক্যালসিয়াম, ২২-২৫ গ্রাম ফ্যাট। পাশাপাশি প্রচুর ভিটামিন ডি, ভিটামিন এ এবং আয়রনও রয়েছে এই মাছে। এর ফলে হাড় এবং পেশি মজবুত হয়। ওমেগা থ্রি বেশি থাকায় এবং স্যাচুরেটেড ফ্যাট কম থাকায় রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। শিশুদের মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা যেমন বাড়ায় তেমনই বার্ধক্যজনিত স্মৃতিভ্রংশ রোগ দূরে রাখে ইলিশ (Hilsa Fish)।
কীভাবে খাবেন ইলিশ মাছ: তবে এত পুষ্টিগুণ কয়েকটি ভুলেই সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। ভাজা ইলিশের (Hilsa Fish) তেল গরম ভাতে কিংবা সর্ষের ঝালে জিভের আরাম হলেও স্বাস্থ্যের পক্ষে তা ঠিক নয়। পুষ্টিগুণও এভাবে নষ্ট হয়ে যায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বেশি তেল মশলা না দিয়ে বরং ভাপে, কম আঁচে রান্না করা উচিত ইলিশ (Hilsa Fish)। ভাত, সবজির সঙ্গে খেলে সহজে হজমও হবে।
আরও পড়ুন : বিমানের পর এবার ট্রেনও, লাগেজের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট ওজন সীমা বেঁধে দিল ভারতীয় রেল
পাশাপাশি ইলিশপ্রেমী (Hilsa Fish) হলেও অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া মোটেই ভালো নয়। সপ্তাহে এক দুদিন ১-২ পিস যথেষ্ট। এই মাছে ফ্যাটের পরিমাণ তুলনামূলক বেশি। তাই যাদের ফ্যাট জাতীয় খাবারে নিষেধাজ্ঞা আছে কিংবা যারা ডায়েট করছেন, তাদের বুঝেশুনে ইলিশ খেতে হবে। যাদের কোলেস্টেরল বেশি বা লিভার, কিডনির সমস্যা রয়েছে তারা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খেতে পারেন ইলিশ।