বাংলাহান্ট ডেস্ক : এসআইআর (SIR) প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে রাজ্যে। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মতো এনুমারেশন ফর্ম নিয়ে বাড়ি বাড়ি ঘুরছেন বুথ লেভেল অফিসাররা। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, এই এসআইআর প্রক্রিয়ায় খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে চলতি বছরের ৯ ডিসেম্বর। আর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হবে আগামী বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার জানান, ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভোটার যাচাইকরণের (SIR) কাজ চলবে। এরপর ৯ ডিসেম্বর প্রকাশিত হবে খসড়া ভোটার তালিকা।
এসআইআর (SIR) ফর্ম নিয়ে নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের
২০০২ সালের ভোটার তালিকায় যদি আপনার বা আপনার পরিবারের কারোর নাম না থাকে তাহলেও কোনও সমস্যা নেই। সেক্ষেত্রে ৯ ডিসেম্বর থেকে ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত দাবি এবং আপত্তি জমা দেওয়া যাবে। যাদের খসড়া তালিকায় (SIR) নাম থাকবে না তাদের নোটিশ পাঠানো হবে। তখনই যোগ্যতার প্রমাণপত্র দিয়ে নাম নথিভুক্ত করা যাবে। শুনানি এবং যাচাই পর্ব চলবে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত। তারপর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে ৭ ফেব্রুয়ারি।

কীভাবে করবেন ফর্ম ফিল আপ: উল্লেখ্য, ৪ নভেম্বর থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত যাঁরা রাজ্যের বাইরে রয়েছেন তাঁদের জন্য অনলাইনে ফর্ম ফিল আপের ব্যবস্থা করেছে নির্বাচন কমিশন। CEO West Bengal এর সরকারি ওয়েবসাইটে গিয়ে অনলাইনে ফর্ম ফিল আপ (SIR) করা যাবে। এর জন্য প্রথমে ওয়েবসাইটে গিয়ে ফোন নম্বর বা এপিক নম্বর দিয়ে লগইন করতে হবে সেখানেই দেখা যাবে এনুমারেশন ফর্মটি। ফর্মের উপরে ছবির জন্য নির্দিষ্ট অংশে সাদা বা হালকা রঙের ব্যাকগ্রাউন্ডের ছবি প্রয়োজন। নির্ভুল তথ্য যাচাইয়ের জন্য আধার কার্ড দেওয়াও জরুরি।
আরও পড়ুন : তীব্র শ্বাসকষ্ট, ভেন্টিলেটরে ধর্মেন্দ্র! ছড়াল মৃত্যু সংবাদ
কী বলছে কমিশন: ফর্মে বাবা মায়ের নাম লিখতে হবে সঠিক ভাবে। বিবাহিত মহিলারাও এখানে স্বামীর নয়, বরং বাবা মায়ের নাম লিখবেন। দিতে হবে এপিক নম্বর। স্বামী স্ত্রীর নামের ঘরেও একই ভাবে জীবনসঙ্গীর নাম এবং এপিক নম্বর হবে।
আরও পড়ুন : মমতার প্রতিশ্রুতি মতো ঢোকেনি ১ লক্ষ ১০ হাজার! দুর্গাপুজোর একমাস পরেও অনুদান থেকে ‘ব্রাত্য’ রাজ্যের ৮ ক্লাব
ফর্মের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল ২০০২ সালে ভোটার লিস্ট। ওই তালিকা অনুসারেই ফর্মে পূরণ করতে হবে সমস্ততথ্য। যাদের নিজেদের নাম নেই, কিন্তু বাবা মা দাদু ঠাকুমার নাম রয়েছে তা লিখতে হবে। আলাদা করে এই ফর্মে কোনও ডকুমেন্ট জমা দিতে হবে না বলেও জানিয়েছে কমিশন।












