মোটা টাকায় কেনা সোনা নকল নয় তো? ঘরে বসেই যাচাই করুন এই সহজ উপায়ে

Published on:

Published on:

বাংলাহান্ট ডেস্ক : সোনার (Gold) দাম শুনলেই এখন আঁতকে উঠতে হচ্ছে। লক্ষের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে হলুদ ধাতু। সামান্য দাম কমলেও তাতে স্বস্তি বিশেষ পাচ্ছেন না মধ্যবিত্তরা। এমতাবস্থায় সোনা কেনা একরকম ‘বিলাসিতা’র পর্যায়েই চলে গিয়েছে। তবে বিয়ে ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে সোনা (Gold) কিনতেই হয়। সেক্ষেত্রে এত দাম দিয়ে কেনা জিনিসটা আদৌ খাঁটি কিনা বুঝবেন কী করে? দোকানদারের কথায় না ভুলে কয়েকটি সহজ উপায়ে বাড়িতেই পরীক্ষা করে নিতে পারেন সোনা আসল (Real Gold) নাকি নকল।

সোনার (Gold) বিভিন্ন রকম বিশুদ্ধতার পরিমাপ

তার আগে জানিয়ে দিই সোনার রকমফের অর্থাৎ বিশুদ্ধতার পরিমাপ। সোনায় (Gold) মূলত ২৪ ক্যারেট, ২২ ক্যারেট, ১৮ এবং ১৪ ক্যারেট এর পরিমাপ হয়। ২৪ ক্যারেট সবথেকে বিশুদ্ধ সোনা। এতে স্বর্ণের পরিমাপ থাকে ৯৯.৯ শতাংশ। তবে তা মূলত কয়েন বা বার আকারেই পাওয়া যায়। গয়না তৈরি করা যায় না। ২২ ক্যারেট বা গয়না সোনার (Gold) বিশুদ্ধতা ৯১.৬ শতাংশ। বাকিটা থাকে রূপো কিংবা তামা।

How to test if gold is real or fake

হলমার্কের গয়না বাধ্যতামূলক: ১৮ ক্যারেটে বিশুদ্ধ সোনা (Gold) থাকে ৭৫ শতাংশ আর বাকিটায় খাদ হিসেবে থাকে রূপো, তামা বা জিঙ্ক। অন্যদিকে ১৪ ক্যারেটের সোনায় (Gold) বিশুদ্ধতার পরিমাপ ৫৮.৩৩ শতাংশ, বাকিটা খাদ। উল্লেখ্য, ২০২১ সাল থেকেই সোনার গয়নায় বিআইএস হলমার্ক বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। আসল সোনার (Gold) গয়না এই চিহ্ন ছাড়া বিক্রি করা যায় না। তাই সোনা আসল (Real Gold) কিনা তা যাচাই করার সবথেকে নির্ভরযোগ্য পদ্ধতি হল বিআইএস হলমার্ক। গয়নায় থাকে ত্রিভুজাকৃতির বিআইএস লোগো, সোনার (Gold) ক্যারেট এবং একটি কোড নম্বরও থাকে।

আরও পড়ুন : মোদীর সভার পরই শুরু তৃণমূল বনাম বিজেপি! মাঠে ধান পুঁতে প্রতিবাদে TMC বিধায়ক, পালটা বালি দুর্নীতি নিয়ে ময়দানে BJP

এইভাবে যাচাই করুন সোনা: এছাড়াও আসল সোনা চেনার আরও কিছু উপায় রয়েছে। এক বাটি জলের মধ্যে সোনার গয়না ডুবিয়ে পরীক্ষা করা যায়। আসল সোনা সঙ্গে সঙ্গেই ডুবে যাবে। কিন্তু সোনা (Gold) নকল হলে তা সহজে ডুববে না। তাতে পাথরের কারুকার্য থাকলে অবশ্য আলাদা কথা। সোনার (Gold) উপরে কয়েক ফোঁটা ভিনিগার ফেলেও দেখতে পারেন। আসল সোনা হলে রঙে কোনো বদল হবে না। কিন্তু নকল (Fake Gold) হলে তা কালচে হয়ে যাবে।

আরও পড়ুন : কয়েক হাজার কোটি টাকার সাম্রাজ্য, মুকেশ অম্বানির সবথেকে বেশি আয় কীসে হয় জানেন?

চুম্বকের কাছে নিয়ে গেলে আসল সোনা কখনোই আটকাবে না। কিন্তু নকল সোনায় বিভিন্ন ধাতু মেশানো থাকায় তা অনেক সময় চুম্বককে আকর্ষণ করে। গ্লেজ ছাড়া সেরামিক টাইলসে গয়না ঘষলে তা যদি আসল সোনার হয় তবে সোনালি দাগ দেখা যাবে টাইলসে। আর নকল সোনার হলে কালো দাগ পড়বে। সর্বোপরি আসল সোনা খুব নরম হয়। কামড় দিলেই দাগ পড়ে যাবে। কিন্তু নকল সোনায় তা হওয়ার সম্ভাবনা নেই।