বাংলাহান্ট ডেস্কঃ নির্বাচনী প্রচারে শাসক-বিরোধী দুই দলই রাজ্যে কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। নতুন কারখানা হবে, শিল্প হবে, বন্ধ কারখানা খোলা হবে এমন প্রতিশ্রুতিতে স্বপ্ন দেখছিল বাংলার কোটি কোটি মানুষ। কিন্তু ভোট মিটতেই অন্য এক চিত্র ফুতে উঠল রাজ্যে। একের পর এক জুটমিল বন্ধ হওয়ায় বিপর্যস্ত হাজার হাজার মানুষ। একেতেই করোনার হাতছানি, আরেকদিকে বন্ধ হচ্ছে কর্মসংস্থান। এরমধ্যে মানুষ কি করবে সেটা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
আজ হাওড়ার শিবপুরের জুটমিলও বন্ধ হয়ে গেল। কর্মহীন হয়ে পড়লেন আড়াই হাজার মানুষ। কাঁচা পাটের অভাবেই জুটমিল বন্ধ হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মঙ্গলবার সকালে জুটমিলের শ্রমিকরা কাজে যোগ দিতে গিয়ে দেখেন গেটে সাসপেনশন অফ ওয়ার্কের নোটিশ ঝুলছে। এরপরই হতাশায় ভেঙে পড়া শ্রমিকরা কারখানার গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে মোতায়েন হয় পুলিশবাহিনী।
কর্মহীনরা অভিযোগ করে জানান, লকডাউনের মধ্যে প্রায় ৯ মাস বন্ধ ছিল এই মিল। এর আগেও অনেকবার বন্ধ হয়েছে। মিল খুললেও ঠিকমতো বেতন মিলত না বলে অভিযোগ করেছেন শ্রমিকরা। আর এরমধ্যে আবারও বন্ধ হল কারখানা। ঈদের আগে কারখানা বন্ধ হওয়ায় বিপাকে শ্রমিকরা। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে, কাঁচামালের অভাবের কারণেই মিল বন্ধ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ১১ এপ্রিল হাওড়া সদরে ভোট শেষ হতেই বন্ধ হয় ঘুসুড়ির হনুমান জুটমিল। এরপর কিছুদিন আগে শ্রীরামপুরেরও জুটমিল বন্ধ হয়ে যায়। ভোট মিটতেই রাজ্যের একের পর এক কারখানা বন্ধ হওয়ার বিপাকে বহু মানুষ।