বাংলা হান্ট ডেস্ক: হাওড়ার (Howrah Station) স্টেশনের ট্রেনের কামরায় লুট। এই ঘটনায় গ্ৰেফতার করা হয়েছে ছয় জনকে। আর এই ঘটনায় যথারীতি যাত্রী নিরাপত্তা নিয়ে ফের প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এছাড়াও, এই ঘটনায় যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।
হাওড়া স্টেশনে ট্রেনে চুরি,আতঙ্কে যাত্রীরা (Howrah Station)
পুলিশে তরফ থেকে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি মঙ্গলবার রাতে ঘটেছে হাওড়া স্টেশনে (Howrah Station)। আর ওই সময় হাওড়া স্টেশনে নিউ কমপ্লেক্সের ২২ নম্বর প্লাটফর্মে দাঁড়িয়েছিল ক্রীয়াযোগা এক্সপ্রেস। ওই ট্রেনে রাঁচির বাসিন্দা দীপক কুমার ছিলেন। সেই সময় ওই ট্রেনের বি ২ কামরায় উঠেছিলেন তিনি। পেশায় তিনি সোনার গয়নার ব্যবসায়ী।ট্রেনে ওঠার পর আচমকাই তার ওপর হামলা চালায় চারজন দুষ্কৃতী। পাশাপাশি তাকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর শুরু করা হয়। এমনকি মুহূর্তের মধ্যে ওই দুষ্কৃতীরা দীপকের হাতে থাকা সোনার গহনার ভর্তি ব্যাগ ছিনিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। তখন দীপকের চিৎকারে ছুটে আসে আরপিএফ ও জিআরপি।
আরও পড়ুন: ওষুধ নয়, এক কাপ লবঙ্গ চা-ই হতে পারে সর্দি-কাশির প্রাকৃতিক প্রতিরোধ! জানুন কীভাবে কাজ করে
এই ঘটনার পর রেল পুলিশ স্টেশনের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে রাতেই অভিযান চালিয়ে তিনজন দুষ্কৃতিকে গ্রেপ্তার করেন। আর এই তিনজন দুষ্কৃতী হলেন ধৃতেরা হল মহম্মদ দিলসাথ (২৫), মহম্মদ আলম (২৭) ও মহম্মদ আরিফ। জানা যায় সকলেই বিহারের বাসিন্দা বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। এছাড়াও বুধবার আরও তিনজনকে হাওড়া টিকিয়াপাড়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে।
তদন্তকারী পুলিশদের অনুমান, এই ঘটনার পিছনে বিহারের এক সংগঠিত ছিনতাই চক্র যুক্ত। তাছাড়া এই বিষয়ে পুলিশের এক আধিকারিক জানান, এই ঘটনায় ব্যবহারিত লাঠি, ট্রেনের সিসিটিভি ফুটেজ ও ধৃতদের মোবাইল কল সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তাছাড়া লুট হয়ে যাওয়া গয়না উদ্ধারে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে জানা যায়, দীপক কুমার কলকাতার বিভিন্ন পাইকারি দোকান থেকে সোনার গয়না কিনে মঙ্গলবার রাতে রাঁচি ফিরছিলেন। তাঁর ব্যাগে প্রায় এক কেজি ওজনের সোনার গয়না ছিল। যার আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ১ কোটি টাকা।
যদিও এই ঘটনায় ধৃতদের বৃহস্পতিবার হাওড়া আদালতে তোলা হয়। এবং টিআই প্যারেডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া দীপককে তদন্তের স্বার্থে আপাতত হাওড়ায় থাকতে বলা হয়েছে। পুলিশের ধারণা এই ঘটনায় দুষ্কৃতির গয়না গুলো নিয়ে বিহারের দিকে পালিয়ে গিয়েছে। যার ফলে বিহার পুলিশকেও খবর দেওয়া হয়েছে। আর এই ঘটনায় নিত্যযাত্রীরা জানান, প্রতিদিন এই স্টেশনে (Howrah) প্রচুর ভিড় হয়। কিন্তু সেই ভাবে পুলিশের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায় না। যার ফলে এই ব্যস্তবহুল স্টেশনে মোবাইল ছিনতাই রোজকারের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। যার ফলে নিত্যযাত্রীরা প্রায়শই ভয়ে থাকে।