বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শুভেন্দুর বিজেপিতে যোগ দেওয়ার আগে থেকেই বেসুরো হয়েছিলেন রাজ্যের বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজের দলের বিরুদ্ধেই একের পর এক বেফাঁস মন্তব্য করে চলেছিলেন। এমনকি তিনি রাজ্য সরকারকে পুরোহিতদের দাবি না মানা হলে কলকাতা অবরুদ্ধ করার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। শেষমেশ ১৬ জানুয়ারি ফেসবুকে লাইভে এসেও দলের প্রতি ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন বনমন্ত্রী। এবার রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন হাওড়া জেলা পরিষদের মেন্টর কল্যাণ ঘোষ।
কল্যাণবাবু রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে বলেন, উনি সেচমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে শুধু নিজেকে প্রতিষ্ঠা করার কাজ করে গিয়েছেন। তিনি এও বলেন যে, তৃণমূল কর্মীদের মিথ্যে মামলায় ফাঁসিয়েছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। ডোমজুড় বিধানসভা এলাকায় নিজের পছন্দের মানুষদের নিয়ে আলাদা গোষ্ঠী করারও অভিযোগ উঠেছে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। এছাড়াও তোলাবাজি, বেআইনি নির্মাণ এবং পুকুর ভরাট করারও অভিযোগ উঠেছে ওনার বিরুদ্ধে।
কল্যাণবাবুর এই অভিযোগের পর হাওড়া জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে আরও বড় ফাতল সৃষ্টি হল বলেই মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেও তিনি এখনো তৃণমূলেই আছেন। আর কল্যাণ ঘোষও তৃণমূলের নেতা। সেই কারণে কল্যাণবাবুর মন্তব্যের জেরে হাওড়া জেলায় তৃণমূল কংগ্রেসে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে দ্বন্দ্ব যে বাড়তে চলেছে, সেটা বলাই বাহুল্য।
কল্যাণবাবু অভিযোগ করে বলেন, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় সেচমন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই রাজ্যের কোষাগারে রাজস্ব সবথেকে কম। কল্যাণবাবু বলেন, বালি মাফিয়াদের সাথে ওনার যোগের কারণেই এই কাজ হয়েছে। ব্যক্তিগত স্বার্থে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এই কাজ করেছেন বলে অভিযোগ করেন কল্যাণ ঘোষ। তিনি এও বলেন যে, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের আত্মীয় পরিজনদের সরকারি চাকরির বন্দোবস্ত করে দিয়েছেন কিন্তু এলাকার ছেলেদের চাকরি দেন নি।