বাংলাহান্ট ডেস্ক : ভারতীয়দের কাছে রেল পরিষেবা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পরিবহণ ব্যবস্থা। প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ মানুষ রেলের উপর নির্ভর করে নিজেদের গন্তব্যে পৌঁছান। রেল নেটওয়ার্ক দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে দেশের প্রতিটি প্রান্তে। আজ ভারতের প্রত্যন্ত গ্রামেও পৌঁছে গেছে ভারতীয় রেল। যাত্রীদের কথা মাথায় রেখে রেলের তরফ থেকে প্রতিনিয়ত নিজেদের আরো উন্নত করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
একাধিক রেল স্টেশনের রূপ পরিবর্তন থেকে শুরু করে নতুন নতুন ট্রেন ট্র্যাকে নামাচ্ছে ভারতীয় রেল।বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ভারতীয় রেলের একটি গৌরবময় অধ্যায়। সেমি হাইস্পিড এই ট্রেন দ্রুত যাত্রীদের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে। তবে আগামী দিনে এই ট্রেনের জায়গায় আসতে চলেছে হাই স্পিড বুলেট ট্রেন (Bullet Train)।
আরোও পড়ুন : কালই বদলে যাবে আবহাওয়া! বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস দক্ষিণবঙ্গে, ৪ জেলায় ইয়েলো অ্যালার্ট
এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় আরো দ্রুত যাত্রীরা পৌঁছাতে পারবেন হাই স্পিড বুলেট ট্রেনের মাধ্যমে। রেল বোর্ড এই প্রকল্প বাস্তবায়িত করতে তৈরি করেছে হাই স্পিড রেল কর্পোরেশন। মুম্বাই-আমেদাবাদ রুটে দেশের প্রথম বুলেট ট্রেন চলবে। সেই প্রস্তুতিও এখন তুঙ্গে। জোর কদমে চলছে কাজ। এই রুটে বুলেট ট্রেনের গতি থাকবে ঘন্টায় ২৫০ কিলোমিটার।
আরোও পড়ুন : প্রশিক্ষণ চলাকালীন দুর্ঘটনা! রাজস্থানের জয়সলমেরে ভেঙে পড়ল তেজস যুদ্ধ বিমান
সর্বোচ্চ গতিবেগ হবে ঘন্টায় ৩২০ কিলোমিটার। মুম্বাই-আমেদাবাদ রুট ছাড়াও দেশের আর কোন কোন রুটে বুলেট ট্রেন চালানো হতে পারে সেই সম্পর্কিত একটি রিপোর্ট সম্প্রতি রেলের কাছে জমা পড়ে। সেই রিপোর্টেই জায়গা পেয়েছে হাওড়া- দিল্লিতে হাই স্পিড বুলেট ট্রেন চালানোর প্রস্তাবটি। এছাড়াও রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে দিল্লি-অমৃতসর, দিল্লি-মুম্বাই এবং মুম্বাই-চেন্নাই রুটের কথাও।
তবে রেল কর্তারা মনে করছেন এগুলোর মধ্যে সবথেকে চ্যালেঞ্জিং হতে পারে হাওড়া- দিল্লির রুটটি।রেল কর্তারা মনে করছেন, যতগুলি বুলেট ট্রেনের রুট জমা পড়েছে, তার মধ্যে সবথেকে দীর্ঘ দূরত্বের রুট হল হাওড়া ও দিল্লি। হাওড়া ও দিল্লির মধ্যে রেলপথের দূরত্ব ১৪৭৪ কিমি। এই দীর্ঘ রেল পথের পরিকাঠামো তৈরি করতে যথেষ্ট সমস্যার মুখোমুখি হতে হবে বলে রেল কর্তাদের ধারণা।
প্রকল্প বাস্তবায়িত হওয়ার পর যদি এই রুটে বুলেট ট্রেন ঘন্টায় ৩২০ কিলোমিটার বেগে ছোটে, তাহলে দিল্লি ও হাওড়ার মধ্যে রেলপথে মাত্র ৬ ঘন্টায় যাতায়াত করা সম্ভব হবে। এই রুটের একটি খসড়া তৈরি করতে গিয়ে উল্লেখ করা হয়েছে, দিল্লি এবং হাওড়া দুটি প্রান্তিক স্টেশন ছাড়াও গ্রেটার নয়ডা, আলিগড়, লখনউ, সুলতানপুর, জয়পুর, বেনারস, বক্সার, পাটনা, ধানবাদ, আসানসোল এবং বর্ধমান স্টেশনে স্টপেজ দিতে পারে এই বুলেট ট্রেন।