বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: উচ্চমাধ্যমিকে পাস করতে পারেননি। তারপর গোটা পশ্চিমবঙ্গ জুড়েই বেশ কয়েক জায়গায় চলতে থাকা আন্দোলনেও সামিল হয়েছিলেন যেখানে তাদের দাবি ছিল তাদেরকে পাশ করাতে হবে। কিন্তু আন্দোলন করেও কোনো লাভ হয়নি। মৌখিক হুমকি আগেই দিয়েছিলেন, এবার সত্যি সত্যি আত্মহত্যা করে বসলেন পূর্ব বর্ধমানের গুসকরা পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কলেজ মোড় এলাকার রাজিয়া খাতুন।
২২ শে জুন সকাল দশটা নাগাদ নিজের বাড়িতেই ছাদ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ১৮ বছর বয়সে ছাত্রীর দেহ। পরিবারের লোকেরা তড়িঘড়ি তাকে এলাকার প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রতে নিয়ে যায়। কিন্তু ততক্ষনে যা হওয়ার হয়ে গিয়েছিল। সেই সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক কিশোরীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে সে এলাকার গুসকরা গার্লস হাই স্কুল থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিল সেই ছাত্রী। রেস্টুরেন্ট পর দেখা যায় রাজিয়া ইংরেজি এবং দর্শন বিষয়ে পাস করতে পারেনি। নিজে ফেল করেছে এই ব্যাপারটা একেবারেই মেনে নিতে পারেনি রাজিয়া। মানসিক অবসাদ ভোগের সাথে সাথেই কোনও কোন উপায় বের হবে সেই আশা করে আন্দোলনে নেমেছিল।
পর্যন্ত আন্দোলনে কাজ না হওয়ায় চরম সিদ্ধান্ত নিয়েছে এই ছাত্রী। তার ইচ্ছা ছিল বর্ধমানের কলেজে গিয়ে পড়ার। রাজিয়ার অকাল মৃত্যুতে মায়ের বুকফাটা কান্না এলাকার পরিবেশকে ভারী করে তুলেছে। পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। মেয়ে যে মনমরা ছিল তা স্বীকার করে নিয়েছেন রাজিয়ার বাবা মুজিবুর শেখ। তার বাবার বয়ান অনুযায়ী সেদিন সকালে ও তিনি কাজে যাওয়ার সময় মেয়েকে পড়তে বসতে দেখেন। ফর আচমকাই এই খবর পেয়ে বিহ্বল হয়ে পড়েছিলেন তিনি।