বাংলাহান্ট ডেস্ক : আবারও এক নৃশংস হত্যাকান্ড! আবারও সংবাদ শিরোনামে উত্তর প্রদেশ (UP)। এবার ঘটনা আমরোহা এলাকার। স্বামীর সঁঙ্গে পরপর দু’বার সহবাস করতে রাজি হননি স্ত্রী। সেই ‘অপরাধেই’ স্ত্রীকে হত্যা করল স্বামী। তারপর সেই ভাইকে সঙ্গে নিয়ে মৃতদেহকে লুকিয়ে ফেলল অভিযুক্ত। অভিযুক্ত স্বামীর নাম আনওয়ার। মেয়ের মাকে ফোন করে জানানো হল তাঁর মেয়ে কোথাও চলে গেছে।
হতভাগ্য স্ত্রীর নাম রুকসানা। এদিকে জামাইয়ের কাছ থেকে মেয়ের নিরুদ্দেশ হওয়ার খবর পেয়ে থানায় অভিযোগ জানায় মা। এদিকে মুরাদাবাদের ঠাকুদ্বারা থানা এলাকায় রাতুপুরার ঝোপ থেকে রুকসানার মৃতদেহের খোঁজ মেলে। এই জায়গাটি আনওয়ারের বাড়ি থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। ওই মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করে জানা যায় গলা টিপে দম বন্ধ করে হত্যা করা হয়েছে।
তদন্তে উঠে আসে রুকসানার সঙ্গে আনওয়ারের সম্পর্ক ভালো ছিল না। সন্দেহ হওয়ায় আনয়ারকে গ্রেফতার করে পুলিস। জেরায় আনোয়ার দোষ স্বীকার করে। আনয়োরের সঙ্গে তার ভাই দানিশকেও গ্রেফতার করে পুলিস। হত্যায় সাহায্য করা ও মৃতদেহ লুকিয়ে ফেলার অভিযোগ রয়েছে দানিশের বিরুদ্ধে।
আনোয়ারের বেকারির ব্যাবসা। জেরায় সে জানায়, ৫ ডিসেম্বর সোমবার ভোর ৪ টের সময় রুকসানার সঙ্গে সহবাস করে। কিছু সময় পরে আবারও সে সহবাস করার ইচ্ছা প্রকাশ করে। কিন্তু রুকসানা এবার আর রাজি হয়নি। এরপরই রেগে গিয়ে গলা টিপে রুকসানাকে হত্যা করে আনোয়ার। এরপর ভাই দানিশের সাহায্যে হাত-পা বেঁধে একটা বস্তায় মৃতদেহ ভরে সেলাই করে দেয়। তারপর বাইক নিয়ে মৃতদেহকে রাতুপুরার জঙ্গলে ফেলে আসে। এরপর শাশুড়িকে ফোন করে জানায় রুকসানা কোথায় চলে গেছে।