বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত কয়েকদিনে পরপর তিনবার বিপুল পরিমাণ সোনা বাজেয়াপ্ত করল বিএসএফ (Border Security Force) জওয়ানরা। উত্তর ২৪ পরগনা (North 24 Pargana) জেলার বাগদা (Bagda) সীমান্ত হতে গতকাল ফের একবার সোনা চোরাচালানকারীদের গ্রেফতার করলো বিএসএফ। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে চোরা চালানকারীদের এহেন রমরমার পিছনে কারণ কি?
গতকাল বাগদার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে ফের একবার উদ্ধার হয়েছে বিপুল পরিমাণ সোনা। সূত্রের খবর, গতকাল বিএসএফের ৬৮ নম্বর ব্যাটালিয়ন রণঘাট সীমান্ত থেকে এক সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে ধরে ফেলে জওয়ানরা। পরবর্তীতে তার কাছ থেকে অসংখ্য সোনার বিস্কুট উদ্ধার করা হয়। এক্ষেত্রে ইতিমধ্যেই ৮১ টি সোনার বিস্কুট পেয়েছে বিএসএফ জওয়ানরা। প্রায় ১০ কিলো গ্রামের কাছাকাছি ওজনের সোনার বিস্কুট উদ্ধার করা হয়, বর্তমান বাজারে যার মূল্য ৫ কোটি ২ লক্ষ টাকা বলে জানা গিয়েছে।
পরবর্তীতে নাজিম মণ্ডল নামে সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। বিএসএফ সূত্রের খবর, উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার ওই চোরাকারবারী বাংলাদেশ থেকে ভারতে সোনা পাচার করে নিয়ে আসছিল এবং সেই সময়ই তাকে ধরে ফেলা হয়।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি বাগদার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত অন্তর্গত মামা ভাগ্নে গ্রামে সন্দেহভাজন এক ব্যক্তিকে পাকড়াও করে বিএসএফ জওয়ানরা। বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসার সময় সন্দেহের বশে তাকে ধরতেই চমকে যায় সকলে। বালতি এবং প্লাস্টিকের বোতল সমেত পাকড়াও করা হয় সন্দেহভাজন ব্যক্তিটিকে। পরবর্তীতে বালতি এবং প্লাস্টিকের বোতল থেকে ২১ টি সোনার বিস্কুট উদ্ধার করে তারা। আড়াই কেজির বিস্কুটগুলির মূল্য প্রায় ১ কোটি টাকা। তার কয়েকদিন পূর্বে অপর এক ব্যক্তির কাছ হতে ১৯ টি সোনার বিস্কুট উদ্ধার করে বিএসএফ।
গোটা ঘটনা প্রসঙ্গে বিএসএফ অফিসার যোগেন্দ্র অগ্রবাল বলেন, “ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে দিনের পর দিন চোরাচালানকারীরা সোনা পাচারের জন্য একের পর এক চেষ্টা করে চলেছে। তবে আমাদের জওয়ানরা সতর্ক রয়েছে। ওদের সকল ছক ভেঙে দেবো আমরা।”