বাংলা হান্ট ডেস্ক: এখনও পর্যন্ত শুধুমাত্র পৃথিবীতেই প্রাণের সন্ধান মিলেছে। পাশাপাশি, গড়ে উঠেছে সভ্যতা। তবে, পৃথিবী ছাড়াও অন্যান্য গ্রহগুলিতে প্রাণের সন্ধান রয়েছে কি না তা নিয়ে দীর্ঘ গবেষণায় লিপ্ত রয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এমনকি, যদি কোনো গ্রহে জীবনধারণের পরিবেশ থাকে সেক্ষেত্রে সেখানে মানব সভ্যতা স্থাপনের বিষয়টিও ভাবনায় রেখেছেন তাঁরা। এমতাবস্থায়, বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন যে, বর্তমানে তাঁরা এমন দু’টি এক্সোপ্ল্যানেট (Exoplanet) আবিষ্কার করেছেন, যেগুলিতে মানুষের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা প্রবল। এমতাবস্থায়, প্রশ্ন উঠতে পারে “Exoplanet” আসলে ঠিক কি? এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, বিজ্ঞানের ভাষায় “Exoplanet” শব্দটি ব্যবহার করা হয় সেই সব গ্রহের জন্য, যেগুলি আমাদের সৌরজগতের বাইরে অবস্থান করে অন্য কোনো নক্ষত্রকে কেন্দ্র করে ঘুরছে।
জেনে সেই দু’টি গ্রহ সম্পর্কে: মূলত, বিজ্ঞানীরা যে দু’টি গ্রহ আবিষ্কার করেছেন সেগুলি আমাদের থেকে প্রায় ১০০ আলোকবর্ষ দূরে রয়েছে। এই প্রসঙ্গে জানা গিয়েছে যে, জ্যোতির্পদার্থবিজ্ঞানী লেটিশিয়া ডেলরেজ এই আবিষ্কারের ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তাঁর দলটিতে সারা বিশ্বের বিজ্ঞানীরা অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। এই গ্রহগুলির মধ্যে একটিকে ট্রানজিটিং এক্সোপ্ল্যানেট সার্ভে স্যাটেলাইট (TESS – Transiting Exoplanet Survey Satellite) এর সাহায্যে আবিষ্কার করা হয়েছে।
যেটির নাম হল LP 890-9b। পাশাপাশি, অন্য আরেকটি গ্রহকে প্রথম গ্রহটির সাহায্যেই আবিষ্কার করা হয়। সেটির নাম LP 890-9c। জানা গিয়েছে, এই গ্রহটি পৃথিবীর তুলনায় প্রায় ৪০ গুণ বড়। পাশাপাশি, প্রথম গ্রহটিও পৃথিবীর চেয়ে প্রায় ৩ গুণ বড়। উল্লেখ্য যে, এই আবিষ্কারের জন্য SPECULOOS টেলিস্কোপও ব্যবহার করা হয়েছিল।
কিভাবে বিজ্ঞানীরা প্রাণের সম্ভাবনার খোঁজ পেলেন: বিজ্ঞানীদের মতে এই গ্রহগুলি যে নক্ষত্রের চারপাশে ঘুরছে সেটির তাপমাত্রা সূর্যের অর্ধেক। তাই LP 890-9b এবং তার নিকটবর্তী গ্রহ হিসেবে LP 890-9c-তে প্রাণের সম্ভাবনা থাকতে পারে। পাশাপাশি, মানুষের পক্ষে সেখানে বায়ুমণ্ডল গড়ে তোলাও সম্ভব। জানিয়ে রাখি যে, নাসার আর্টেমিস ১ মিশনও এই দিকেই কাজ করছে।
যদিও, প্রথমে ফুয়েল লিকের কারণে আর্টেমিস ১ মিশন স্থগিত করা হলেও ওই মিশনের পরবর্তী লঞ্চের তারিখ ২৩ সেপ্টেম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে। এদিকে, চিনের Chang’e মিশনটিও কিছুটা আর্টেমিস ১-এর মতো। যার কারণে এটি সম্প্রতি অনুমতি পেয়েছে। এমতাবস্থায়, আগামী দিনে এরকম একাধিক মিশন সম্পন্ন হতে চলেছে। তবে, অন্য কোনো গ্রহে মানুষের বেঁচে থাকার জন্য সবার আগে পৃথিবীর মতো একইরকম বায়ুমণ্ডলের প্রয়োজন হবে।