বেলডাঙ্গায় বাবরি মসজিদের পোস্টার পড়তেই তোলপাড়! কী ঘটছে এলাকায়?

Published on:

Published on:

Humayun Kabir Announces Babri Masjid Foundation Ceremony in Murshidabad
Follow

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মুর্শিদাবাদের বেলডাঙ্গায় বিধায়ক হুমায়ুন কবিরের নতুন বাবরি মসজিদের (Babri Masjid) ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের ঘোষণা ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক আলোচনা। এলাকায় পোস্টার পড়তেই উত্তেজনা আরও বেড়েছে। বিষয়টি নিয়ে শাসক তৃণমূলের পক্ষ থেকেও প্রতিক্রিয়া দেখানো হয়েছে।

বাবরি মসজিদের (Babri Masjid) নির্মাণ নিয়ে বেলেডাঙ্গার এলাকায় একের পর এক পড়ল পোস্টার

মুর্শিদাবাদ জেলার বেলডাঙ্গায় বাবরি মসজিদের (Babri Masjid) নতুন নির্মাণকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে তীব্র রাজনৈতিক তরজা। এলাকায় একের পর এক পোস্টার পড়েছে, যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে ৬ ডিসেম্বর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হবে। পোস্টার ঘিরে স্বাভাবিকভাবেই চর্চা শুরু হয় স্থানীয়দের মধ্যে।

কী বলেছেন হুমায়ূন?

এই পরিস্থিতিতে সরাসরি প্রতিক্রিয়া দেন বেলডাঙ্গার তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর (Humayun Kabir)। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, “আমরা ৬ ডিসেম্বর বাবরি মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করব। জায়গা ঠিক হয়ে গেছে। প্রস্তুতিও চলছে।” তাঁর এই মন্তব্য ছড়িয়ে পড়তেই রাজনৈতিক মহলে নতুন করে চর্চা ও বিতর্ক শুরু হয়।

ঘটনাস্থল বেলডাঙ্গা এলাকায় ইতিমধ্যেই কিছু পোস্টার দেখা গেছে, যেখানে বাবরি মসজিদ (Babri Masjid) নির্মাণের কথা লেখা রয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েকটি সংগঠনও এই কর্মসূচিকে সামনে রেখে প্রস্তুতি শুরু করেছে। তবে বিরোধীরা প্রশ্ন তুলেছে এই ঘোষণার সময় এবং উদ্দেশ্য নিয়ে। যদিও শাসকদলের তরফে বিষয়টিকে “মানুষের দাবি ও ধর্মীয় অনুভূতির প্রতি সম্মান” বলেই তুলে ধরা হয়েছে।

Humayun Kabir Announces Babri Masjid Foundation Ceremony in Murshidabad

আরও পড়ুনঃ “আমরা বলিনি ফ্রেশার নিতে!” SSC পরীক্ষার পদ্ধতিতে রাজ্যকে কড়া ধমক দিল সুপ্রিম কোর্ট, কেন?

প্রসঙ্গত, ৬ ডিসেম্বর এই তারিখটি বাবরি মসজিদের (Babri Masjid) ইতিহাসে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। তাই এই দিনে বেলডাঙ্গায় ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের ঘোষণা রাজ্য রাজনীতিকে আরও চড়া তাপমাত্রায় নিয়ে গিয়েছে। এখন নজর ৬ ডিসেম্বরের দিকে সেদিন সত্যিই ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হয় কি না, এবং তার রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া কতদূর গড়ায়, তা দেখার অপেক্ষায় রয়েছে রাজ্যবাসী।