বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দলনেত্রী তিনি। তাই দলের চেয়ারম্যান তথা সুপ্রিমো মমতা বন্দোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) হিসাবে সোমবার পরিষদীয় বৈঠকে বিধায়কদের প্রতি করা বার্তা দিয়ে জানিছিলেন,’এখনও আমি আছি, শেষ সিদ্ধান্ত আমিই নেব। শৃঙ্খলা না মানলেই নেওয়া হবে উপযুক্ত ব্যবস্থা।’
মমতার (Mamata Banerjee) ধমক খেয়ে সুর নরম হুমায়ুনের
তারপরেই যদিও রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল দলে উনিই তো শেষ কথা, এটা আবার আলাদা করে বলতে হচ্ছে কেন? তবে মুখ্যমন্ত্রীর এই কড়া ডোজে কাজ দিয়েছে। মমতা বন্দোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) এহেন একের পর এক কড়া বার্তার পর অবশেষে সুর নরম হয়েছে ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের।
অবশেষে নিজের ভুল স্বীকার করে নিয়ে তিনি বলেছেন, ‘ভুল করেছি। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) শেষ কথা, সে বিষয়ে কোনও বক্তব্যই নেই, কোনওদিন ছিল না। এখন বিধায়কদের সমস্যা জানানো জন্য একাধিক পথ জানিয়েছেন তিনি। ফলে আর সমস্যার কিছু নেই।’
এমনিতে বরাবরই হুমায়ুন কবীর মুখ খুললেই বিতর্ক। সম্প্রতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম জড়িয়ে একের পর এক বেফাঁস মন্তব্য করায় শিরোনামে এসেছেন তিনি। যার জন্য সম্প্রতি তাঁকে শোকজ নোটিস ধরিয়েছিল দল। এমন কি তাঁকে ধমক দিয়েছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। ধমক দিয়ে হুমায়ুন কে তিনি বলেছিলেন,’তোমাকে এত কথা বলতে কে বলেছে?’
তার ঠিক ২৪ ঘন্টার মধ্যেই নিজের অবস্থানে অনড় থেকে সপাট জবাব দিয়েছিলেন হুমায়ুন। তারপর দলের পরিষদীয় বৈঠকে আবার অ্যাকশন মোডে ফেরের মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার সেখান থেকেই মুখ্যমন্ত্রী কড়া বার্তা দিতেই হুঁশ ফেরে হুমায়ূনের।
আরও পড়ুন: প্রস্তুতি তুঙ্গে! জগন্নাথ মন্দিরের কাজ কতদূর? দেখতে দীঘা যাচ্ছেন মমতা
নিজের ভুল স্বীকার করে নিয়েই হুমায়ুন এদিন বলেন, ‘আমি কেন, কেউ কোনওদিন মুখ্যমন্ত্রীর কাজ, ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেনি। আমিও তুলিনি। বাকি যা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল তা মেটানোর ব্যবস্থা হয়েছে। হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া সপ্তাহে একটা দিন বিধায়করা যাবতীয় অভিযোগ জানাতে পারবেন।’
প্রসঙ্গত সোমবার বিধানসভার পরিষদীয় দলের বৈঠক থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধায়কদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘শৃঙ্খলা মানতে হবে সবাইকেই। না মানলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শোকজ করা হবে।’ একইসাথে এদিন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রূপের কথা জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেন অরূপ বিশ্বাস, ফিরহাদ হাকিম, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে মাথায় রেখেই বিধায়কদের নিয়ে গ্রুপ তৈরী হবে। মমতার কথায়, ‘বিধায়কদের কারও কিছু বলার থাকলে ওখানে বলে দেবে। আমি জানতে পেরে যাব। আমার কিছু বলার থাকলে ওখানেই বলে দেওয়া হবে। আজ কেউ মন্ত্রী, কাল বিধায়ক। ওসব নিয়ে ভাববেন না। মানুষের কাছে যান। কাজ করুন।’