‘মুর্শিদাবাদে তৃণমূলকে ২০ থেকে ১০ এ নামাব!’ দলকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ হুমায়ূনের

Published on:

Published on:

Humayun Kabir Challenges His Own Party After Targeting Mamata Banerjee

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ফের রাজনৈতিক ভূমিকম্প মুর্শিদাবাদে। দলনেত্রীর পর এবার দলকেই প্রকাশ্যে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর (Humayun Kabir)। গত সপ্তাহেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে একসাথে কটাক্ষ করেছিলেন তিনি। এবার সরাসরি নিজের দলের নেতৃত্বকেই আক্রমণ শানালেন হুমায়ুন।

দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ হুমায়ুনের (Humayun Kabir)

ভাইফোঁটার এক অনুষ্ঠানে দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে হুমায়ুন (Humayun Kabir) বলেন, “২০২৩ সাল থেকে বলছি দু’জন ব্লক সভাপতিকে সরান। চিঠি দিয়েছি, অনুরোধ করেছি। কেউ শুনল না।” এখানেই থামেননি ভরতপুরের বিধায়ক। এরপর তিনি সরাসরি অভিযোগ তুলে বলেন যে, “যারা বালির ঘাট থেকে তোলাবাজি করছে, পুলিশের সঙ্গে ভাগ বসাচ্ছে, তারা এখন নেতা হয়ে বসে আছে!”

বালির ব্যবসায় দুর্নীতির অভিযোগে হুমায়ূন (Humayun Kabir) বলেন, “এক লরি বালি যেখানে ৪০ হাজারে পাওয়ার কথা, আজ লাগছে ৫০ হাজার! কেন? এই অন্যায় আমি মেনে নেব না।” হুমায়ুন এদিন আরও বলেন যে, “দলের ভেতর চোর ছ্যাঁচড়ামো চলছে। যারা ক্যান্টিনে মাল বিক্রি করে, তারা নেতা সেজে বসেছে।” এরপরই নাম ধরে একের পর এক তোপ দেগে হুমায়ূন বলেন, “এই ভীষ্ম, অপূর্ব সরকার, নিয়ামত হাজি, খলিলুর রহমান, এরা নাকি নেতা! বাকিরা তেজপাতা। তরকারিতে দিলে গন্ধ আসে, কিন্তু খাওয়ার নয়।” নেতাদের পারিবারিক পরিচয় টেনে হুমায়ুন বলেন, “ফতেমা মহিলা নেত্রী, তার বরকে ভোটে ঘুষি মেরে হাসপাতালে পাঠিয়েছে, সে হচ্ছে নেত্রী! কাউসারের বাবা আজও কংগ্রেস করে, সে হচ্ছে নেতা!”

এরপরই হুমকির সুরে হুমায়ূন বলেন, “আমাকে যদি অসম্মান করো, আমি দু’টো সিটে দাঁড়াব। জিতে দেখাব, কার সঙ্গে মানুষ আছে।” তিনি সাফ বলেন, “বেরিয়ে তো যেতে চাই! দল থেকে বের করে দিক, তারপর বোঝাব এই জেলায় ভোট কেমন হয়!”

Humayun Kabir Challenges His Own Party After Targeting Mamata Banerjee

আরও পড়ুনঃ সাড়ে তিনশো কোটি টাকার ‘প্রতারণা’! তৃণমূল নেতার ছেলের নামে বিস্ফোরক অভিযোগ আসানসোলে

দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে উদ্দেশ্য করে হুমায়ুন (Humayun Kabir) হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন যে, “আমাকে দল থেকে বের করে দেখাক না! মুর্শিদাবাদে আসন সংখ্যা ২০ থেকে ১০ এ নামাব।” তিনি আরও বলেন যে, “২০২১ সালে ২২টি আসনের মধ্যে আমরা ২০টি জিতেছিলাম। দিদি তো ছিলেনই, সঙ্গে আমিও ছিলাম।” সবশেষে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, এই জেলায় তৃণমূলের প্রধান কাণ্ডারি তিনিই। ভরতপুরের বিধায়কের এই মন্তব্য ঘিরে দলে শুরু হয়েছে তীব্র অশান্তি। এখন দেখার, দলের শীর্ষ নেতৃত্ব কী সিদ্ধান্ত নেয়।