বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বাংলার রাজনীতিতে সংখ্যালঘু ভোট সবসময় গুরুত্বপূর্ণ। অনেক সময় শাসক দলের বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু তোষণের অভিযোগও ওঠে। এর মধ্যেই সংখ্যালঘুদের পাশে থাকার কথা বারবার বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইফতার হোক বা ঈদের অনুষ্ঠান, তাঁকে নিয়ম করে সেখানে উপস্থিত থাকতে দেখা গেছে। এই অবস্থায় বাবরি মসজিদের শিলান্যাসের ঠিক আগে বড় অভিযোগ তুললেন ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর (Humayun Kabir)।
পনেরো বছরে সংখ্যালঘুরা কী পেল? প্রশ্ন তুললেন হূমায়ুন (Humayun Kabir)
ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর (Humayun Kabir) সম্প্রতি তৃণমূল থেকে সাসপেন্ড হয়েছেন। বেলডাঙায় সভায় তিনি প্রশ্ন তুললেন, “পনেরো বছরে সংখ্যালঘুরা কী পেল?” এদিন হুমায়ুন বলেন, ২০১১ সালে সংখ্যালঘুরা আস্থা রেখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভোট দিয়েছিল। কিন্তু তাঁর অভিযোগ, এরপর মুখ্যমন্ত্রী বারবার তাঁদের সঙ্গে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছেন।
হুমায়ুনের কথায়, “মুখ্যমন্ত্রী যা বলবেন সেটাই ঠিক, আর অন্য কেউ বললে সেটা ভুল, এতটাই অহঙ্কার তাঁর।” তিনি দাবি করেন, রাজ্যে প্রায় ৩৭ শতাংশ সংখ্যালঘু। তাঁদের ভোটেই মমতা মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। আর সাসপেনশনের পরে আরও কড়া সুরে বলেন, “এই অহঙ্কার আমি ভেঙে দেব। ওঁকে প্রাক্তন করেই ছাড়ব।”

আরও পড়ুনঃ কেন সাসপেন্ড করা হয়েছে হুমায়ুনকে? আসল কারণ খোলসা করে বললেন কুণাল ঘোষ
হুমায়ুন (Humayun Kabir) এদিন আরও ঘোষণা করে বলেন, তিনি নিজের দল গড়বেন। সেই দলের পক্ষ থেকে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত ৯০টি আসনসহ মোট ১৩৫টি আসনে মুখ্যমন্ত্রী প্রার্থী দেবেন। তিনি দাবি জানিয়ে বলেন, “বিধানসভায় যাব। দরকার হলে বিরোধী দলেও বসব। সংখ্যালঘুদের অধিকার আমি বুঝে নেব। ইঞ্চি ইঞ্চি লড়াই করব।” তিনি আরও জানান, মুসলিমসহ সব সংখ্যালঘুর ন্যায্য অধিকারই তাঁর মূল লক্ষ্য।












