বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ব্রিগেডে গীতাপাঠের দিনেই পাল্টা ঘোষণা করে নতুন করে আলোচনায় এলেন ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর (Humayun Kabir)। তিনি জানালেন, মুর্শিদাবাদে লাখো লোক নিয়ে তিনি কোরান পাঠের আয়োজন করবেন। ব্রিগেডে গীতা পাঠের দিন হুমায়ুনের এই ঘোষণায় রাজ্যের রাজনীতিতে নতুন উত্তাপ তৈরি হয়েছে।
ব্রিগেডে গীতাপাঠ, আর হুমায়ুনের (Humayun Kabir) পাল্টা ঘোষণা
রবিবার ব্রিগেডে যখন পাঁচ লক্ষ মানুষ একসঙ্গে গীতাপাঠ করছেন, সেই সময়েই হুমায়ুন কবীর (Humayun Kabir) ঘোষণা করেন তিনি মুর্শিদাবাদে বিশাল কোরান পাঠের আয়োজন করবেন। তাঁর অভিযোগ, বিজেপি গীতাপাঠ করিয়ে হিন্দুত্বের রাজনীতি করছে। আর তিনি চান মুসলিম ভোট আরও শক্তিশালী হোক। হুমায়ুন বলেন, “বিজেপি রাম মন্দিরের এজেন্ডা নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে। বাংলা দখল করতে গীতাপাঠ করছে।”
এরপর হুমায়ুন (Humayun Kabir) বলেন “আমি লাখো মানুষের জমায়েতে কোরান পাঠ করাব। ১ লক্ষ হাফেজ কোরান পড়বেন। মুর্শিদাবাদের এক বড় জায়গায় প্যান্ডাল হবে। সবার খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থাও থাকবে।”
বাবরি মসজিদ নিয়ে আগেই বিতর্কে হুমায়ুন
এর আগে হুমায়ুন (Humayun Kabir) বাবরি মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। সেই নিয়ে তৃণমূলের সঙ্গে তাঁর ঝামেলা বাড়ে। তাঁকে দল থেকে সাসপেন্ডও করা হয়। এরপর থেকেই তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে খোলাখুলি আক্রমণ করছেন। হুমায়ুনের দাবি, “বাংলায় ৩৭% সংখ্যালঘু রয়েছে। তাদের ভোটে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন মমতা। খুব অহঙ্কার হয়েছে। আমি তাঁকে প্রাক্তন করব।” বাবরি অনুষ্ঠানের পর তিনি আরও অভিযোগ করে বলেন, “সরকারি টাকায় জগন্নাথ মন্দির করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী কি মন্দির তৈরির জন্য মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন?”
হুমায়ুন (Humayun Kabir) বলেছেন, গীতাপাঠ নিয়ে তাঁর কোনও আপত্তি নেই। সনাতন ধর্মের মানুষ গীতা পড়তেই পারেন, এতে তাঁর শ্রদ্ধা আছে। কিন্তু তিনি অভিযোগ করেন, বিজেপি ধর্মকে হাতিয়ার করেই ১৯টি রাজ্য দখল করেছে।

আরও পড়ুনঃ মৃত ভোটারহীন বুথ! SIR আবহে জোর রহস্য এই জায়গায়, নজরদারি শুরু প্রশাসনের
বছর শেষ হলেই ভোট। তার আগেই বড় বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে নানা রাজনৈতিক বার্তা দেওয়া হচ্ছে। গীতাপাঠ আর কোরান পাঠ, দুটো নিয়েই এখন রাজনীতিতে তর্ক-বিতর্ক চলছে। ভোটমুখী বাংলায় এই বিষয়ই এখন সবচেয়ে আলোচিত বিষয়।












