বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের (Humayun Kabir) মন্তব্যে আবারও রাজনৈতিক উত্তেজনা ছড়াল। সূত্রের খবর, ভরতপুর থানার সামনে অনুষ্ঠিত এক সভায় তিনি নাম না করে জেলা সভাপতি অপূর্ব সরকারকে কটাক্ষ করেন। একই সঙ্গে তিনি কটাক্ষ করেন প্রাক্তন জেলা সভাপতি সাওণী সিংহ রায়কেও। এরপরেই এলাকার রাজনীতিতে উত্তেজনা ছড়ায়।
নাম না করে জেলা নেতৃত্বকে আক্রমণ হুমায়ূন কবিরের (Humayun Kabir)
হুমায়ুন (Humayun Kabir) বলেন, জেলা নেতৃত্ব ‘মাতব্বর’, ‘মোড়ল’ এবং ‘চোরে চোরে মাসতুতো ভাই’। এই কথাগুলি বলে হুমায়ুন আক্রমণ করেছেন জেলা সভাপতিকে। এদিন তিনি প্রশ্ন তুলেছেন যে, “ভরতপুরে পঞ্চায়েত সমিতি ভেঙে দেওয়া হল কেন?” তারপর তিনি অভিযোগ জানিয়ে আরও বলেন, “দু’মাস কেটে গেলেও স্থায়ী সমিতি গঠন করা হচ্ছে না।”
হুমায়ূন কবির (Humayun Kabir) আরও অভিযোগ করেন, মহিলা পঞ্চায়েত সমিতির সভানেত্রীরা সভায় নিজে হাজির হন না। প্রশাসনিক বৈঠকে তাঁদের পরিবর্তে উপস্থিত থাকেন তাঁদের স্বামী। হুমায়ুন বলেন, “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে বারণ করেছেন, তারপরও জেলায় চলছে এই অনাচার।”
নিজেকে নিয়ম মেনে চলা বিধায়ক দাবি করে হুমায়ুন (Humayun Kabir) বলেন, “আমি নিয়মিত বিধানসভায় হাজির থাকি। নিয়ম মানি। তাই সোজা কথা সোজাভাবে বলি, কোনো ভয় পাই না।” জেলা সভাপতিকে মশা ও চিংড়ির সঙ্গে তুলনা করে হুমায়ুন আরও বলেন যে, “হাতির সঙ্গে লাগতে এসো না, ফল ভালো হবে না।”
আরও পড়ুনঃ বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে ফের মৃত্যু, পুজো মণ্ডপের মধ্যে মর্মান্তিক ঘটনায় শোকের ছায়া সোনারপুরে
প্রসঙ্গত, প্রকাশ্যে হুমায়ূন কবীর (Humayun Kabir) এমন মন্তব্য করে এভাবে দলের অন্দরের ক্ষোভ প্রকাশ করায় রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে যে, এবারও কি তাঁর বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ আনবে দল? যদিও এখনও দল কোনও প্রতিক্রিয়া জানায় নি। এখন আগামীদিনে কি হবে সেটাই দেখার।