বাংলা হান্ট ডেস্কঃ জম্মু কাশ্মীরের শ্রীনগরে ভারতীয় সেনা এনকাউন্টারে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন তেহরিক-ই-হুরিয়ত (Hurriyat) এর সভাপতি আশরফ সহরাই (Ashraf Sehrai) এর জঙ্গি ছেলে জুনেইদ সহরাই (Junaid Sehrai) সমেত দুই জঙ্গিকে খতম করেছে। জুনেইড ২০১৮ এর জুন থেকে নিখোঁজ ছিল আর পরে একে-৪৭ হাতে তাঁর একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়।
জঙ্গি জুনেইদ সরহাই কাশ্মীর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ (MBA) করেছিল। একটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, আশরাফ সহরাই বেশ বড় কট্টরপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা। নিজের ছেলের জঙ্গি হওয়ার খবর শোনার পর আশরাফ মিডিয়াকে বলেছিল, জম্মু কাশ্মীরের বর্তমান জেনারেশন শিক্ষিত। এরা নিজেদের রাস্তা নিজেরাই বেছে নিতে পারে। ভারত সরকারের এটা বোঝা উচিৎ যে, আজকের প্রজন্ম সেই ১৯৫০ এর প্রজন্মের সমান না। সেই সময় শেখ আবদুল্লাহ নেতৃত্বে ছিলেন। উনি বলেন এই জেনারেশন কাশ্মীরের ভবিষ্যত। এরা ১৯৯০ এর দশকের প্রজন্ম। এরা সবকিছু বোঝে। যদি এদের অধিকার কাড়া হয়, তাহলে এরা প্রশ্ন করে আর লড়ার জন্য বন্দুক তুলে নেয়।
আপনাদের জানিয়ে দিই, সংগঠন তেহরিক-এ-হুরিয়ত এর সভাপতি আশরাফ সহরাই ২৩ মার্চ ২০১৮ সালে শ্রীনগরের থানায় ছেলে জুনেইদের নিখোঁজ হওয়ার ডায়েরি লিখিয়েছিল। তখন জুনেইদের বয়স ছিল ২৮ বছর। পুলিশ তাঁর ডায়রির পর জুনেইদের খোঁজ শুরু করে। আর ঠিক ২৪ ঘণ্টা পর হাতে বন্দুক নিয়ে জঙ্গি জুনেইদ ছবি পোস্ট করে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
আশরাফ তাঁর ছেলে জুনেইদকে জঙ্গিদের থেকে দূরে থাকার আবেদন করবে না বলে জানিয়ে দিয়েছিল। সেই সময় জম্মু কাশ্মীরের ডিজিপি এসপি বৈদ্য আশরাফকে বুঝিয়েছিলেন যে, আশরাফ যেন নিজের ছেলেকে জঙ্গির রাস্তা ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার আবেদন করে। আপনাদের জানিয়ে দিই যে, এটা প্রথম না যে কাশ্মীরের কোন আলগাওবাদী নেতার ছেলে জঙ্গি সংগঠনে নাম লেখাল।