বাংলা হান্ট ডেস্ক: বলা হয়ে থাকে কোনো কাজই ছোট বা বড় নয়। অর্থাৎ সমস্ত কাজই মন দিয়ে করলে তাতে গগনচুম্বী সফলতা পাওয়া যায়। একজন মানুষ যদি কোনো কাজ গভীর নিষ্ঠা এবং কঠোর পরিশ্রমের সাথে করেন তবে তাঁকে সফল হওয়া থেকে কেউই আটকাতে পারবেন না।
পাশাপাশি, সেই সমস্ত মানুষরা অনুপ্রেরণা হয়ে থাকেন বাকিদের কাছেও। অরুণা এবং প্রশান্ত লিংগমের সফলতার কাহিনিটাও অনেকটাই ঠিক একই রকম। হায়দরাবাদে বসবাসরত প্রশান্ত ও অরুণা সম্পর্কে স্বামী-স্ত্রী। ২০০৬ সালে, তাঁরা দু’জনেই গাঁটছড়া বাঁধেন। একদিন তাঁরা বাড়ির জন্য বাঁশের তৈরি আসবাবপত্র কিনতে বেরিয়েছিলেন। আর সেখান থেকেই বিরাট উপলব্ধি পান তাঁরা। তারপর আর দেরি না করে নিজেরাই বাঁশের তৈরি আসবাবপত্রের ব্যবসা শুরু করার পরিকল্পনা করেন ওই দম্পতি।
যদিও, প্রশান্তের বাবা-মা এই কাজের জন্য কিছুতেই সায় দেননি। তবে, হাল ছাড়েননি তাঁরা। একটি প্রকল্পের অধীনে, প্রশান্ত এবং অরুণা প্রায় নয় মাস যাবৎ বন এবং সেখান থেকে প্রাপ্ত সম্পদ সম্পর্কে বিশদে পর্যবেক্ষণ করেন। সেখান থেকেই ওই দম্পতি জানতে পারেন যে, বাঁশের তৈরি পণ্যের বাজার ভারতে বিশাল। দ্বিতীয়ত, এর মাধ্যমে বিপুল সংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থানের সমস্যারও সমাধান হতে পারে।
একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, প্রশান্ত ও অরুণা ২০০৮ সালে “Bamboo House” শুরু করেছিলেন। পাশাপাশি, এই কাজ করার জন্য ব্যাঙ্ক থেকে থেকে প্রায় ৬০ লক্ষ টাকার একটি বিশাল ঋণ নেন তাঁরা। এছাড়াও, অন্ধ্রপ্রদেশের গ্রামবাসী ও আদিবাসীদের জন্য বাঁশ থেকে জিনিস তৈরির জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করেন ওই দম্পতি।
তাঁদের ব্যবসার যাত্রাপথে বহু সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন তাঁরা। তবে, সমস্ত প্রতিবন্ধকতাকে সামলে সেগুলি থেকে শিক্ষা নিয়ে তাঁদের লক্ষ্যে স্থির থেকেছেন প্রশান্ত ও অরুণা। পাশাপাশি, তাঁদের এই কঠিন পরিশ্রমের জেরে “Bamboo House” বর্তমানে সফলতার শিখরে পৌঁছে গিয়েছে। শুধু তাই নয়, আজ কয়েকশ মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগও করে দিয়েছে এই সংস্থা।