বাংলাহান্ট ডেস্ক : বিয়ের পর স্ত্রীয়ের পরিচয় না দেওয়ায় বিশাল এক পদক্ষেপ নিলেন স্ত্রী। স্ত্রীর পরিচয় পেতে তিনি দিল্লী থেকে সোজা ঘাটালে এসে উপস্থিত হন। হতাশ স্ত্রী গ্রামের শ্বশুরবাড়ির দরজায় এসে ধর্নায় বসে পড়েন। এই ঘটনা শুরু হয় বহুল আলোচিত এক বিবাহ সম্পর্কিত সাইট থেকে। সেখান থেকেই পরিচয় হয় পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালের তরুণ বিবেক ভুঁইয়া ও দিল্লীতে কর্মরত কিন্তু আদপে শ্যামনগরের তরুণী মোনালিসা জয়ধরের।
ধীরে ধীরে ফোন ও হোয়াটস্যাপের মাধ্যমে তাঁদের সম্পর্ক এগোতে থাকে। এর জন্য বিবেক মাঝে মাঝেই দিল্লীতে যেতো। এর মধ্যেই অফিসের ছুটি পেয়ে ঘাটালের এক মন্দিরে তাঁরা বিয়ে করে নেন। কিন্তু তখনো রেজিস্ট্রির বিয়ে করা হয়ে ওঠেনি তাঁদের। তাই এরপর কাজের মধ্যেই আবার ফিরে যান মোনালিসা। বিবেক কথা দিয়েছিলেন যে তিনি দেখা করতে যাবেন।
কিন্তু বিয়ের পর থেকেই তাঁর আর দেখা পাওয়া যায়নি বলে মোনালিসার অভিযোগ। কিন্তু এরপরে হাজার চেষ্টা করেও মোনালিসা তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি। কী এমন হলো যে বিয়ের পরেই মুখ লুকোলেন বিবেক? কিন্তু স্বামীর এই ব্যবহারে দমে থাকেননি মোনালিসা।
সোজা গিয়ে হাজির হন তাঁর শ্বশুরবাড়ির দরজায়। কিন্তু শ্বশুরবাড়ির লোক তাঁকে দেখেও অস্বীকার করেন বলে দাবি জানান তিনি। এরপর থেকেই বিয়ের সমস্ত প্রমাণ সহ ধর্নায় বসেন তিনি। অন্যদিকে গ্রাম ছেড়ে পালন বিবেক। মোনালিসাকে সমর্থন করেছেন গ্রামের মানুষরা। শেষমেশ ১৩ ঘন্টার ধর্নার পর তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তাঁকে মেনে নেন।