বাংলাহান্ট ডেস্কঃ একেই হয়তো বলে সহমরণ, এযেন সেই প্রাচীন পুরাণের বাস্তব দৃশ্য। উত্তরপ্রদেশের (uttar pradesh) এক ঘটনায় চোখে জল এল সকলের। এক দুর্ঘটনায় প্রথমে মাকে এবং পরে মায়ের মৃত্যু শোক সামলাতে না পেরে বাবাকে হারালেন রাজীব ও জ্ঞানেন্দ্র।
পথ দুর্ঘটনার বলি স্ত্রী
সোমবার উত্তরপ্রদেশের কোতোয়ালি শহরের ভাদাইচা গ্রামের বাসিন্দা বালাকরাম পালের স্ত্রী ৫৫ বছর বয়সী জয়াদেবী কুতুয়াপুরে যাচ্ছিলেন। কিন্তু সেখানে যাওয়ার সময় রাস্তায়ই ঘটে যায় এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। পথে এক গাড়ির সঙ্গে তাঁর ধাক্কা লেগে যাওয়ায়, গুরুতর আহত হন তিনি।
ময়নাতদন্তের পর দেহ তুলে দেওয়া হয় পরিবারের কাছে
তৎক্ষণাৎ পরিবারের লোকজন তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরী হয়ে গেছে। হাসপাতালে নিয়ে গেলে, তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে চিকিৎসকরা। হাসপাতালের নিয়ম মেনে দুর্ঘটনায় মৃত জয়াদেবীর মরদেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়। সন্ধ্যের সময় সময় নিয়ম কানুন মেনে জয়াদেবীর মৃতদেহ পরিবারের হাতে তুলে দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
মুখাগ্নির সময় অসুস্থ হন স্বামী
মঙ্গলবার সকালে অন্তিম সংস্কারের জন্য স্বামী বালাকরাম পাল এবং দুই ছেলে রাজীব ও জ্ঞানেন্দ্র মায়ের মরদেহ দেহ রাজঘাটে নিয়ে আসেন। কিন্তু সেখানে অন্তিম সংস্কার চলার সময় জয়াদেবীর মুখাগ্নিকালে অসুস্থ হয়ে পড়েন স্বামী বালাকরাম পাল। হার্ট অ্যাটাক হওয়ার কারণে তাঁকে পরিবারের লোকজন কন্নৌজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।
প্রাণ হারান স্বামীও
হাসপাতালে যাওয়ার সময় মেহেন্দিঘাট ব্রিজের কাছেই তাঁর নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে যায়। স্ত্রীর মৃত্যুশোক সামলাতে না পেরে নিজেও প্রাণ হারান বালাকরাম পাল। একই সাথে এক দুর্ঘটনা পিতা এবং মাতা দুজনকেই কেড়ে নিল রাজীব ও জ্ঞানেন্দ্রের। সেইদিন সন্ধ্যেতে আবার পিতা বালাকরাম পালের শেষ কৃত্য সম্পন্ন করে দুই ছেলে।