বাংলা হান্ট ডেস্ক: যত দিন এগোচ্ছে ততই সর্বত্ৰ বিবাহবিচ্ছেদের (Divorce) ঘটনা বাড়ছে। এমনকি, সমগ্ৰ বিশ্বজুড়েই এহেন প্রবণতা পরিলক্ষিত হচ্ছে এখন। তবে, এবার এই প্রসঙ্গেই একটি চাঞ্চল্যকর অভিযোগ সামনে এল। যেটি শুনে চমকে উঠবেন সকলেই। জানা গিয়েছে স্ত্রী বিবাহবিচ্ছেদে রাজি না হওয়ায় তাঁকে এইচআইভি এড্স সংক্রামিত ইঞ্জেকশন দেওয়ার অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে।
হ্যাঁ, শুনে চমকে উঠলেও এবার ঠিক এই ঘটনা ঘটানোর অভিযোগ উঠেছে অন্ধ্রপ্রদেশের (Andhra Pradesh) এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এই প্রসঙ্গে জানা গিয়েছে যে, অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম হল এম চরণ। তাঁর বয়স হবে ৪০-এর কাছাকাছি। এদিকে ইতিমধ্যেই অন্ধ্রের তেড়েপল্লির এই বাসিন্দার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছেন তাঁর স্ত্রী। পাশাপাশি, অভিযুক্তকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ।
এদিকে, চরণের স্ত্রী বর্তমানে অন্তঃসত্ত্বা রয়েছেন বলেও জানা গিয়েছে। তিনি অভিযোগ করেছেন, বিবাহবিচ্ছেদের পথ সহজ করতেই এহেন ষড়যন্ত্র করেছেন তাঁর স্বামী। পাশাপাশি, তিনি এও জানান, তাঁদের সম্পর্কে প্রথমদিকে কোনো সমস্যা ছিল না। এমতাবস্থায়, একটি কন্যাসন্তানও হয় তাঁদের। যদিও, ২০১৮ সাল নাগাদ ধীরে ধীরে বদলে যেতে থাকে তাঁদের সম্পর্কের সমীকরণ।
শুধু তাই নয়, চরণ পুত্রসন্তানের জন্য ক্রমাগত চাপ দিতে শুরু করেন বলেও অভিযোগ করেন ওই মহিলা। এমনকি, শ্বশুরবাড়ি থেকে পণ চাইতেও শুরু করেন তিনি। তবে, সম্প্রতি বিশাখাপত্তনমের এক তরুণীর সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক তৈরি হয় অভিযুক্তের। আর সেইজন্যই বিবাহবিচ্ছেদের জন্য জোরাজুরি শুরু করেন চরণ।
এদিকে, তাঁর স্ত্রী আরও জানান, কিছুদিন আগে তিনি অসুস্থ হওয়ার কারণে তাঁর স্বামী তাঁকে এক হাতুড়ে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান। সেখানেই তাঁকে একটি ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়। এমতাবস্থায়, অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ার পর যখন তিনি স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে যান তখনই তিনি জানতে পারেন যে এইচআইভিতে আক্রান্ত হয়েছেন তিনি। চরণের স্ত্রীর মতে, ওই হাতুড়ে ডাক্তারের সাহায্যেই তাঁর স্বামী এইচআইভি সংক্রমিত ইঞ্জেকশন দিয়েছেন তাঁকে।