বধূহত্যার মামলায় জেলবন্দি স্বামী! ১৩ বছর পর জীবিত অবস্থায় পাওয়া গেল স্ত্রীকে

বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা সামনে এসেছে উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) বাহরাইচ থেকে। যেখানে পণের জন্য বধূহত্যার অভিযোগে স্বামী ও তাঁর পরিবারের চার সদস্যকে জেলে পাঠানো হলেও ১৩ বছর পর সেই “মৃতা” স্ত্রীকে সুস্থ এবং স্বাভাবিক অবস্থায় দেখা গিয়েছে। অর্থাৎ, তাঁর মৃত্যুর ঘটনাটি সম্পূর্ণ ভুল ছিল। এদিকে, এই খবর সামনে আসতেই হুঁশ উড়ে যায় ওই মহিলার শ্বশুরবাড়ির লোকজনদের। এমনকি, তাঁর স্বামী তৎক্ষণাৎ পুলিশকে বিষয়টি জানান। তারপরেই আটক করা হয় ওই মহিলাকে।

১৩ বছর পর জীবিত অবস্থায় পাওয়া গেল স্ত্রীকে: জানা গিয়েছে, এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে থানা রাম গ্রামের জামাপুর গ্রামে। যেখানে ২০০৬ সালে রামাবতীর সঙ্গে বিয়ে হয় কান্ধাই নামের এক ব্যক্তির। এদিকে, বিয়ের ঠিক ৩ বছর পরে, রামাবতী তাঁর শ্বশুরবাড়ি থেকে হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যান। যদিও, এই ঘটনার পরেই রামাবতীর পরিবার তাঁর শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে পণের জন্য হত্যার ঘটনার অভিযোগ জানিয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। শুধু তাই নয়, ওই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে কান্ধাইকে ১০ বছরের কারাদণ্ড ও ১৭ হাজার টাকার জরিমানা দিতে বলে আদালত। তবে ৬ মাস পর হাইকোর্ট থেকে জামিন পান তিনি।

নির্দোষ হওয়া সত্ত্বেও তাঁকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে: এমতাবস্থায়, ওই মামলায় পুলিশের ভুল তদন্ত ও গাফিলতির কারণে পণের জন্য স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগের ভিত্তিতে নিরপরাধ কান্ধাইকে ১১ মাস জেল খাটতে হয়েছে। এমতাবস্থায়, ১৩ বছর পর যখন তাঁর স্ত্রীকে জীবিত অবস্থায় পাওয়া যায়, তখন পুলিশও অবাক হয়ে যায়।

জানা গিয়েছে, রামাবতী তাঁর বোন ও জামাইবাবুর বাড়িতে ফিরে আসেন। আর তখনই গ্রামে আলোড়নের সৃষ্টি হয়। এরপর এই খবর তাঁর স্বামী কান্ধাইর কাছেও পৌঁছে যায়। এমতাবস্থায়, তিনি পুলিশের সাহায্য নিয়ে রামাবতীর বোনের বাড়িতে পৌঁছন। এরপর পুলিশ রামাবতীকে জীবিত উদ্ধার করে আদালতে পেশ করে তাঁকে জেলবন্দি করেছে।

WhatsApp Image 2022 08 03 at 6.33.02 PM

কি জানিয়েছেন কান্ধাই: এই প্রসঙ্গে কান্ধাই জানিয়েছেন, তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাঁদের মেয়েকে জীবিত বা মৃত অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য ক্রমাগত চাপ দিয়ে আসছিলেন। কিন্তু, তিনি বারবার তা প্রত্যাখ্যান করা সত্ত্বেও তাঁরা তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে থাকেন। এমনকি, বাধ্য হয়ে নির্দোষ হয়েও তাঁকে জেলযন্ত্রণা সহ্য করতে হয়েছে।


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর